গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনের সড়কের বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানি আবার রোদ উঠলে ধুলা-বালিতে একাকার হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে চালাচলকারীদের। পাশেই কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর ও নির্বাচন কমিশন ভবনের গাঁ ঘেঁষেই চলেছে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনের সড়কের যদি এমন বেহাল দশা হয় তাহলে অন্যসব এলাকার সড়কগুলোর কি দশা তা নিয়ে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সিটিকর্পোরেশন ও গণপূর্ত বিভাগের ঠেলাঠেলিতে এতদিনেও সংস্কার হয়নি এই সড়ক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভর দুপুরে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে মুখে রুমাল দিয়ে অধিদপ্তরের সামনের এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক পথচারি। রাস্তা দিয়ে একটি প্রাইভেট কার যেতেই ধুলা-বালিতে মলিন হয়ে গেল পুরো সড়কটি। সড়কে নেই কোনো ফুটপাত। পথচারি নিজেকে ধুলা থেকে বাঁচাতে দেওয়াল ঘেসে দাঁড়িয়ে গেলেন। তবুও নিজেকে রক্ষা পারলেন না ধুলা-বালির হাত থেকে।
শুধু পরিবেশ অধিদপ্তরই সামনেই নয়, তার পাশেই নির্বাচন কমিশনের ধার ঘেঁষেই চলেছে এই সড়কটি। অধিদপ্তরের পাশেই কোস্ট গার্ড কার্যালয়। সেটার সামনেও দেখা গেছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। ভাঙা লেগুনাসহ বেশকয়েকটি যানবাহন এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। অধিদপ্তরের সামনে দিয়ে চলাচলকরী শাহাদাত হোসেন নামে এক পথচারী ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমরা এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। অনেকদিন ধরেই এই রাস্তার কোনো সংস্কার হচ্ছে না। পরিবেশ অধিপ্তরের সামনের রাস্তার পরিবেশ যদি পরিবেশ না থাকে তবে তবে কোথায় সুষ্ঠু পরিবেশ পাবো?
আবার একটু বৃষ্টি হলেই কাদা হয়ে যায় সড়কটিতে। আরেক পথচারী অভিযোগ করে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। স্যারেরা তো গাড়িতে যাতায়াত করেন তাই ধুলা-বালি চোখে পড়ে না। আমাদের মতো একদিন হেঁটে যেতেন তাহলে বুঝতে পারতেন এই রাস্তায় চলাচল করা কত কষ্টকর!
এদিকে সিটি কর্পোরেশন ও গণপূর্ত বিভাগের ঠেলাঠেলিতে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, অধিদপ্তরের পক্ষথেকে অনেকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ বলছে এই সড়কটি সিটিকর্পোরেশনের অধীনে আবার সিটি কর্পোরেশন দাবি করছে এটি গণপূর্ত বিভাগের অধীনে। তাদের ঠেলাঠেলিতে এ রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী ইনকিলাবকে বলেন, এটা নিয়ে এর আগে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু আমরাই না, আমাদের পাশে কোস্টগার্ড কার্যালয় থেকেও আবেদন করা হয়েছে। রাস্তা সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অলরেডি প্রায় ২০০ কোটি টাকার একটা প্রেকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা আশা করেছি খুব দ্রুত হয়তো প্রক্রিয়াটি অনুমোদন হবে এবং কাজ শুরু হবে। ইতিপূর্বে সিটিকর্পোরেশন ও গণপুর্ত বিভাগের ঠেলাঠেলির বিষটিও স্বীকার করেন তিনি।
তবে খুব শিগগির এই সড়কের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, সাম্প্রতি এই সড়কের দায়িত্ব আমাদের কাছে এসেছে। অলরেডি এই সড়কের জন্য একটা বড় প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।