পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আপামর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। পরিবর্তন হয়েছিল মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ভাগ্যের, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছিল তারাসহ কিছু মানুষের জীবনের উন্নয়ন হয়েছিল। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবেনি, তারা দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন সমস্যায় নিমজ্জিত ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রায় ছয় বছর পর আমি দেশে আসি। ১৯৭৫ সালের পর আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হতো না। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। এক পর্যায়ে এক রকম জোর করেই আমি দেশে ফিরেছি। এরপর সারা দেশ ঘুরেছি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ শুরু করি। তখন থেকেই সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
রোববার বেলা ১২টায় গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু’ ও ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুইটি উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনে শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, 'তিস্তা ও তিতাস এই দুটি সেতু নির্মাণের কারণে এসব এলাকায় মানুষের দারিদ্র্য হ্রাস পাবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হবে।'
এ ছাড়াও গঙ্গাচড়ার সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সেতুটির কারণে ঢাকা আসতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে। ফলে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে এবং ওই এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রাম থেকে লালমনিরহাট হয়ে আমরা রেল যোগাযোগও স্থাপন করব।'
তিনি আরও বলেন, 'রংপুর দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকা। সেখানে সবসময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। ১৯৯৬ সালে যখন সরকারে আসি, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। ২০০৮ সালে আমরা আবার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসি। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় আছি। এখন কোথাও মঙ্গা নেই। আমরা রিসার্চ করে করে বহুমুখী ফসল উৎপাদন করতে শুরু করি। এই অঞ্চলে (উত্তরাঞ্চলে) আমরাই প্রথম ভুট্টা চাষের জন্যে প্রজেক্ট করি। আমি বলতে পারি, গত সাড়ে ৯ বছরে কেউ মঙ্গা শব্দটি শোনেনি। উত্তরবঙ্গের লোক মঙ্গা শব্দটি ভুলেই গেছে।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।