নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে আজ মুখোমুখী হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত ও ২০০৮ সালের শিরোপা জয়ী মালদ্বীপ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭ টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচে জয় পেয়ে ভারত অষ্টম ও মালদ্বীপ দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতে চায়। ফাইনালের আগে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান দু’দলের কোচ ও অধিনায়ক। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে না আসলেও কাল ঠিকই উপস্থিত হন ভারতের প্রধান কোচ স্টিফেন কন্সট্যানটাইন। তিনি বলেন,‘সাফের ফাইনালে প্রতিপক্ষ মালদ্বীপকে আমরা সমীহ করি। তারা সেমিফাইনালে অসাধারণ ম্যাচ খেলেছে। আমার ধারণা ফাইনালে মালদ্বীপ আরো ভালো খেলার চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাইবো শিরোপা ধরে রাখতে।’
এবারের সাফে মূল জাতীয় দল না নিয়ে আসলেও ভারতীয়রা ঠিকই নিজেদের শক্তিমত্তা বজায় রেখেছে। গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত তারা দোর্দন্ড প্রতাপে খেলেছে। ফাইনালের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপকে গ্রুপ পর্বে হারিয়েছে ২-০ গোলে ব্যবধানে। তাও আবার মূল একাদশের পাঁচ খেলোয়াড়কে বাইরে রেখে। শক্তির বিচারে ভারত অবশ্যই ফেভারিট। বলা যায় টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয় তাদের জন্য সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় লালুয়ানপাজি সেমিফাইনালে লালকার্ড পেয়েছেন। ফলে তার খেলা হচ্ছে না ফাইনালে। তাকে মিস করবেন বললেন কোচ স্টিফেন,‘অহেতুক লাল কার্ড পেয়েছে লালুয়ানপাজি। দলের জন্য সে খুবই কার্যকরি খেলোয়াড়। ফাইনালের মতো ম্যাচে তাকে খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কিছুই করার নেই।’ অধিনায়ক সুভাশীষ বোস বলেন,‘ফাইনালে সবাই চায় জিততে। আমরাও জয়ের জন্যই মাঠে নামবো। মালদ্বীপকে হারিয়ে সাফের টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে চাই আমরা।’
সাফে কেন অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে আসলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় কোচ বলেন,‘ আমরা জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এশিয়াডে অংশগ্রহণ না করায় শেষ পর্যন্ত এই দলটিকেই সাফে নিয়ে আসলাম।’ এবারের এশিয়ান গেমস ফুটবলে ভারত কেন অংশ নেয়নি? এর কোন ব্যাখ্যা আর দেননি কোচ স্টিফেন। তবে তিনি জানান, সাফের মাধ্যমে ভারতের তরুণ ফুটবলাররা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।
মালদ্বীপের কোচ পিটার সেগার্ড বলেন,‘ গ্রুপ পর্ব আর ফাইনাল এক নয়। ফাইনালে আপনারা অন্য মালদ্বীপকে দেখতে পাবেন। ভারতের বিপক্ষে আমরা ভিন্ন কৌশলে আবির্ভূত হব।’
ফাইনালের দল ভিন্ন হলেও গত আসরের চেয়ে এই আসরে কোচের ভিন্নতা নেই। ডাগ আউটে সেই কন্সট্যানটাইন ও পিটার। গত আসরে আফগানিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করাতে না পারলেও এবার কি মালদ্বীপের হয়ে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নেবেন পিটার সেগার্ড? এমন প্রশ্নে মালদ্বীপ কোচের উত্তর,‘আমরা অবশ্যই জিততে চাই। আফগানিস্তানের হয়ে সেই ম্যাচ আমার নিয়ন্ত্রেণই ছিল। শেষ মুহূর্তে হেরেছি আমরা।’
পিটার ভারতকে শক্তিশালী আখ্যায়িত করলেন অন্য দৃষ্টি কোণ থেকে। তার কথায়,‘মালদ্বীপ মাত্র কয়েক লাখ মানুষের দেশ। আর ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১২০ কোটি। কিন্তু ফুটবল মাঠে ভারতের ১১ জনের সঙ্গে মালদ্বীপের ১১ জনের লড়াই হবে। সেই লড়াইয়ের জন্য মালদ্বীপের খেলোয়াড়রা প্রস্তুত আছে।’ অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানি বলেন,‘ফাইনালের জন্য প্রস্তুত আমরা। ভারতকে হারিয়ে সাফের দ্বিতীয় শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরতে চাই। যদিও কাজটা কঠিন। তারপরেও এটা ফাইনাল ম্যাচ। এখানে অনেক কিছুই হতে পারে।’
২০০৯ সালে সর্বশেষ সাফ ফাইনাল খেলেছিল মালদ্বীপ। ঢাকায় সেই ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অধিনায়ক ঘানির। ওই আসরে তারা ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরেছিল। দশ বছর পর আবার ট্রফি উচিয়ে ধরার সুযোগ এসেছে মালদ্বীপের সামনে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া দ্বীপ দেশটি। এমনটাই জানান কোচ পিটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।