পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ শুক্রবার লাহোরের জাতি উমরায় দাফন করা হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজকে। তিনি গত মঙ্গলবার লন্ডনে ক্যান্সারে মারা যান। এ সময় তার পাশে ছিলেন না নওয়াজ শরীফ ও মেয়ে মরিয়ম। তারা ছিলেন পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে বন্দি। তার মৃত্যুর খবর শুনে তাদেরকে ৫ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মৃত কুলসুম নওয়াজের লাশ পাকিস্তানে আনতে গত বুধবারই লন্ডনে পৌঁছেন নওয়াজ শরীফের ভাই ও পিএমএলএনের বর্তমান সভাপতি শাহবাজ শরীফ, তার ছেলে হামজা শরীফ। বিমানবন্দরে ভাবি কুলসুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শাহবাজ শরীফ। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত কঠিন সময়ে তিনি ছিলেন সাহসী নারী। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয় সামরিক শাসক পারভেজ মোশারফ, জারি করে সামরিক শাসন, সে সময়ে কুলসুম ছিলেন অবিচল।
নওয়াজ, মরিয়মের সারাজীবনের বেদনা
সারাজীবন একটি বেদনা, অনুশোচনা, কষ্ট বয়ে বেড়াতে হবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে। লন্ডনের হাসপাতালে তারা গত মাসে যখন কুলসুম নওয়াজ যখন কোমায় তখন তাকে ফেলে তারা পাকিস্তানে ফিরে আসেন স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তানের আদালত জেলের নির্দেশ দিয়েছে। দেশে ফিরেই জেলে যান পিতা ও কন্যা। ওদিকে নওয়াজ শরীফের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ লন্ডনের হাসপাতালে কোমায়। গত মাসে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তারপর ক্ষণকালের জন্য তিনি চেতনা ফিরে পেয়েছিলেন। ওই সময় তিনি তার স্বামী ও কন্যা মরিয়মকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা তখন পাকিস্তানের জেলে। তাকে মিথ্যে কথা বলে শান্তনা দেয়া হয়েছে। ফলে জীবনের শেষ সময়টাতে কুলসুম নওয়াজ তার সবচেয়ে প্রিয়জন নিজের স্বামী নওয়াজ ও মেয়ে মরিয়মের মুখ দেখে যেতে পারেননি। নওয়াজ ও মরিয়মও জীবিত অবস্থায় তাকে আর কোনোদিন দেখতে পাবেন না। এই বেদনা, এই কষ্ট তাদেরকে সারাজীবন কুরে কুরে খাবে। মরিয়ম নওয়াজ তার মায়ের মৃত্যুর খবরে কীভাবে কেঁদেছেন, কেমন অনুশোচনা করছেন সে সম্পর্কে পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব তার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি মরিয়ম নওয়াজের জবানিতে বলেছেন, গত মাসে আমার মা যখন চেতনা ফিরে পেলেন তখন আমরা তার কাছে ছিলাম না। আমি ও আমার পিতা সেজন্য ভীষণভাবে অনুতপ্ত। জেলে থাকা অবস্থায় তবু মার সঙ্গে টেলিফোনে বাবাকে সপ্তাহে একবার কথা বলতে দেয়া হতো। তাও জেলের নিয়ম অনুযায়ী সীমিত সময়ের জন্য। একবার মা জানতে চেয়েছিলেন, আমি কেন স্কাইপ মারফত তার সাক্ষাত করি না বা কথা বলি না, যাতে তিনি আমার মুখখানা দেখতে পান। আমার মা হয়তো ভেবে থাকবেন, আমরা রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি ব্যস্ত। তাই হয়তো আমাদের সময় নেই তার সঙ্গে কথা বলার। এই বেদনা আমার সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।