দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
একটি সমাজ, রাষ্ট্রকে অনাদিকাল ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বড় সম্পদ হল তরুণ প্রজন্ম। একারণে তরুণ প্রজন্মের জয়গান যুগে যুগে কালের বিবর্তনে কবি সাহিত্যিক বুদ্ধজিবীরা গেয়েছেন সর্বদা । যেমন কবি কাজী নজরুল ইসলাম তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেছেন- চল্ চল্ চল/উর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল/নিম্নে উতলা ধরণী তল/অরুণ প্রাতের তরুণ দল/ চল্ চল্ চল/উষার দুয়ারে হানি আঘাত/ আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত/আমরা টুটাব তিমির রাত/ বাধাঁর বিন্ধাচল। তার এই প্রত্যাশার আলোকে আমরা দেখতে পাই তরুণ সমাজ হল দেশ রক্ষায় দুর্ভেদ্য প্রাচীর , দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য বীর যোদ্ধা, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাঝিমাল্লা,অগ্রজদের প্রত্যাশার আলো, অনুজদের অনুকরণের পাথেয়, অন্যায়, অত্যাচার , অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বীর পুরুষ, আত্মবিশ্বাসে মূর্তিমান এক কাফেলা, আত্ম ,ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, ও জাতির সম্মান রক্ষায় প্রশিক্ষিত ঢাল তলোয়ার , সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশে নিবেদিত কর্মী, নিজেকে সম্পদে পরিণত করার আপোষহীন শ্রমিক, বিপদে আপদে যেন পাহাড় সম ধৈর্য্যশীল ব্যক্তিত্ব,মানব কল্যাণ যেন তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনি আদর্শে নব্য তুর্কীরা তুরস্কে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন খাত নেই যেখানে তরুণের অগ্রযাত্রায় ধরণীতল আলোকিত হযনি। ইসলামের ইতিহাসে হযরত আলী (রা.), হযরত আমীর হামজা (রা.), হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) হযরত যায়েদ বিন সাবিত (রা.) হযরত হাসান ও হোসাইন (রা.) এরমত আদর্শ তরুণরা অনাদিকালব্যাপী চিরখ্যাতি অর্জন করেছেন। হযরত মা ফাতেমা (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) হযরত রাবেয়া বসরী (রা.) হযরত উম্মে সালমা (রা.) , মাদার তেরেসা, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসাইন এর মত পুত:পবিত্রা তরুণীরা আদর্শ নৈতিকতায় পুর্ণ তারেুণ্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। এভাবে তারুণ্যের জয়গানে পৃথিবীর স্থান, কাল, ভূখন্ড কোন না কোন সময়ে রাজমুকুট পরিধান করেছে। অতীতের সুসমৃদ্ধ তরুণ প্রজন্মের ইতিহাসকে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ইতিহাসের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে পরিবার , সমাজ, দেশ সর্বোপরি বিশ্ববিবেককে হতাশ হতে হয়। কেননা তরুণকে দেখো যেখানে মানুষের আশায় বুক বাধাঁর কথা সেখানে মানুষ বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দানবীয় রুপ দেখে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে ঘরমুখো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছে। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম মানে একপ্রকার মূর্তিমান দানব। হাতে মারনাস্ত্র, ক্ষুর, চাপাতি, হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠি, এমন কোন বেআইনী অস্ত্র নেই যা তারা বহন করেনা। সর্বনাশা ইয়াবা , হিরোইন ,পেথেড্রিন,পেনসেডিল,মদ, ধূমপান ইত্যাদীতে আসক্ত হয়ে দানবীয় রুপ ধারণ করেছে। অপরদিকে বড় ভাই কেন্দ্রিক তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি চর্চার বিকাশ তরুণদেরকে মহাদানবীয় শক্তিতে রুপান্তর করেছে। তাদেরকে দেখে মনে হয় এই মাত্র হামলা করে কারও না কারও জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিবে। যার ফলশ্রুতিতে মূহুর্তেই এ তরুণ প্রজন্মের কাছে দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগানো, প্রতিপক্ষকে হত্যা করা , কিংবা ভাড়াটিয়া হিসেবে হত্যাকান্ড সংঘটিত করা সবচেয়ে সহজ কাজে পরিণত হয়েছে। মানবিক চিন্তা ও মানবিকতা তরুণ প্রজন্ম থেকে বিদায় নিয়েছে। মাদকাসক্ত এ তরুণ প্রজন্ম তাদের নেশার পণ্য যোগাড় করতে এমন কোন কাজ নেই তারা করছেনা। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের মানবীয় রুপকে বিসর্জন দিয়ে দানবীয় রুপকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ফলে তারা ছিনতাই,অপহরণ, ও ভাড়টিয়া হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সে পেশায় নিজেকে একজন পরিণত ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতে সুশীল পোষাক পরিচ্ছদের বিপরীতে অশালীন ও অরুচিকর পোষাক, চুলের ডিজাইন করছে যা যেকোন সভ্য সমাজের ভাবনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তার অরুচিকর বৈশিষ্ঠ্য বাস্তবায়নের আগেই তার বাহ্যিক রুপ বলে দেয় সে কত ভয়ংকর। এমনি ভয়ংকর রুপে রাস্তার ধারে দাড়িয়ে মহিলাদের উত্যক্ত করা, মোবাইল টান দেওয়া ,ছিনতাই, জনসংকীর্ণ এলাকায় নারী নির্যাতন, কোচিং সেন্টারে জোরপূর্বক নারী নিপীড়ন ইত্যাদী সাবলীল ও ভয়হীন ভাবে করে যাচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে তার কাছ থেকে মানবতা বোধের বিলুপ্তি ঘটছে এবং বিকৃত মানবিক গুণাবলীর চর্চার প্রতি ধাবিত হচ্ছে। মোবাইলের অপব্যবহার করে ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমু, হোয়াটস এ্যাপস ইত্যাদী ব্যবহার করে তারা ভয়ংকর গ্রুপে সংঘটিত হচ্ছে। অপরিণত বয়সে স্কুল কলেজ ও মা বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে হোটেল, চাইনিজ রেস্তোরা, পার্ক কিংবা সাইবার ক্যাফে পর্ণো সংস্কৃতির প্রতি ঝুঁকে পড়ার পাশাপাশি অপ্রীতিকর অবাধ মেলামেশার প্রতি ধাবিত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত আদনান তাশফিয়া ঘটনার পাশাপাশি রমজান ও গত ঈদুল ফিতরের বন্ধে বেশ কিছু হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে নীতি, নৈতিকতা, আদব, শিষ্ঠাচার,ও লাজ লজ্জা পরিহারের যে হিড়িক পড়েছে তা ভবিষ্যতে মহামারি আকার ধারন করলে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তা পূণরায় পরিষোধন করতে পারবে কিনা ভেবে দেখা দরকার। যে তরুণ প্রজন্ম পরিবার, সমাজ ,ও দেশের জন্য সম্পদে পরিণত হওয়ার কথা,সততার সাথে পবিত্র জীবন যাপনের মাধ্যমে নীতি নৈতিকতাকে পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করার কথা ,ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রিয় উন্নতি কল্পে যেখানে তরুণের মেধাকে ব্যবহারের কথা , নতুন নতুন আবিস্কারের মাধ্যমে নিজকে দেশের জন্য, দেশকে বিশ্বের জন্য অপরিহার্য সম্পদে পরিণত করার কথা, সেখানে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম সম্পূর্ণ তার বিপরীত কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তরুণ বয়সে যেখানে আত্মবিশ্বাস, সুচিন্তা, নৈতিকতা, পরিশীল ও গবেষণা মূলক মনমানসিকতা গড়ে তোলা দরকার সেখানে বিকৃত রুচির চর্চা ,সামাজিক লাজলজ্জা পরিহার করে তরুণ তরুণীর অবাধ মেলামেশা সুশীল মানুষকে লজ্জিত করে তুলেছে। ডিজিটাল যুগের কল্যাণে তরুণ তরুণীর অবাধ মেলামেশা ও পরস্পরের যোগাযোগের বিষয়টি এত বেশী চর্চা হচ্ছে যা তার মেধা, মনন, শয়ন, স্বপন, শিরা, উপশিরা, ও রক্তে মিশে গেছে। একজন তরুণের টোটাল চিন্তা শক্তির সিংহভাগ অযাচিত ও কু সংস্কৃতির চিন্তায় ভরপুর হয়ে পড়েছে। যার প্রভাবে তরুণ প্রজন্ম অনিদ্রা, অপুষ্টি, খর্বদেহ,মেধাশূণ্যতা সহ নানান রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মেধাবিকাশ ও চিন্তার পরিধি সংকোচিত হয়ে আসছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রে রুচিশীল চিন্তার বিপরীতে জৈবিক চাহিদাগত চিন্তার মাত্রা ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ণয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বেশী। যার প্রমাণ সম্প্রতি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস যৌথ জরিপের একটি সমীক্ষা ইলেকট্রনিক মিডিয়া এনটিভিতে প্রকাশিত হয়। সমীক্ষায় বলা হয় তারা একটি স্কুলের ৩০ জন ছাত্রের মাঝে জরিপ চালিয়ে ২৯ জনের হাতে এনড্রয়েড মোবাইলের সন্ধান পান, এবং ২৯ জনের মোবাইলেই পর্ণোছবির সন্ধান পান। অপর এক জরিপে দেখাযায় দেশের ৬০ শতাংশ তরুণ তরুণি পর্ণোগ্রাফি চর্চায় নিমজ্জিত। যার অশুভ প্রভাব দেখা যায় দেশের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার গুলোতে। তাদের ভাষ্যমতে নির্যাতীত নারীদের অধিকাংশ তরুণ ছেলেদের দ্বারা আক্রান্ত। আবেগ তারিত এ তরুণ প্রজন্ম নীরবে নিভৃতে পর্ণোগ্রাফীর শিক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে তা দেখার, প্রতিরোধ, কিংবা সংশোধন করার কোন কতৃপক্ষ আছে বলে মনে হয়না। অতি আধুনিকতা ও অতি স্বাধীনতার নামে আমাদের সমাজের তরুণ তরুনীরা কোন বিপদজনক পথের দিকে পা বাড়াচ্ছে তা ভাবতে অবাক লাগে। উপরোক্ত জরিপের একটি শংকা হল বর্তমান সমাজের তরুণ তরুণীদের লাগামহীন বিপথগামীতার দিকে ধাবিত হওয়ার যে দৌড় শুরু হয়েছে তা অতিদ্রুত প্রতিরোধ করা না গেলে আগামী ১০ বৎসরের মধ্যে সভ্য সমাজের দাবী নিয়ে বসবাস করা যাবে কিনা তা নিয়ে শংকা রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, উদ্বিগ্ন শিক্ষক সমাজ , উদ্বিগ্ন পুরো সমাজ। মনোবিজ্ঞানের দাবী অনুযায়ী ১১-২০ বৎসরের এ সময়কালকে ঝড় ঝাঞ্চার সময়কাল বলাহয়। এসময়ে সন্তান পিতামাতা ও শিক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যায় থাকার কথা সেখানে বর্তমান তরুন প্রজন্মের পরিবারের প্রতি অবাধ্যতা, ও আনুগত্য হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি পড়ালেখার প্রতি অমনোযোগীতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। লক্ষ্যহীন গন্তব্যে স্বাধীনমনে খোলা আকাশে মুক্ত পাখির ন্যায় বিচরণকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশী। তরুণ শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটে, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস এ্যাপ, ইমু ,ইনস্টগ্রাম, ফেইসবুক এগুলোর মধ্যে বিচরণকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশী। ফলে পড়ালেখার প্রতি নিস্ক্রীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে । ফেইসবুকের কল্যাণে শিক্ষার্থীরা , অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়ে ব্যক্তি , পরিবার , সমাজ রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়ে চিন্তা করার ক্ষেত্রে উদাসীন। এমন তরুণ প্রজন্ম নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যত, উন্নতি অগ্রগতি কি হবে ? তা ভবে দেখা দরকার। অনেক তরুণ পরীক্ষায় পাশ করে যাচ্ছে, কিন্তু সুশিক্ষিত তরুণ মেধাবী প্রজন্ম বের হয়ে আসছেনা। উল্টো হিংস্র রুপ ধারণ করে বেরিয়ে আসছে সিলেটের ইকবাল, চট্টগ্রামের আদনানের মত অজস্র দানব। যাদের হাতে লাঞ্চিত নারী জাতি , লাঞ্চিত মানবতা, লাঞ্চিত সভ্য সমাজ। আমাদের সমাজের একটা শ্রেণী আদর্শ ও নৈতিকতা বিবর্র্জিত উম্মাদনাকে তারুণ্যের জয়গান বলে চালাতে চান । কিন্তু আজকের এ পরিস্থিতিতে তাকে তারুণ্যের জয়গান বলা হবে নাকি নিছক বিপথগামীতা বলা হবে তা ভেবে দেখা দরকার। অতিমাত্রায় লাগামহীন ও শালীনতা বর্জিত বিনোদন সাময়িক আনন্দের উপলক্ষ্য হলেও এর মধ্য দিয়ে তরুণ তরুণীরা বিপথগামী হওয়ার পথে পা বাড়ায়। তারুণ্যের জয়গান মানে নীতি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে বিপথগামী হওয়া নয়। যা নৈতিকতা তথা মানবীয় বিবেকের বিচারে অন্যায় ,ত্রু টিযুক্ত, অশালীন, অসংযত, অরুচি,অশ্লীল,অস্বচ্ছ,ও নির্লজ্জ বলে মনে হয় তা থেকে বিরত থাকার নাম হল নৈতিকতা। যে তারুণ্যের স্বাধীনতায় এগুলোর সমন্বয় হয় তা কখনও আদর্শ, নীতি ও সংস্কৃতির অংশ হতে পারেনা। সম্ভবত এ কথার সাথে কেহ একমত হবেনা যে, নারী পুরুষ তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র , সামাজিক , পরিবারিক , রাষ্ট্রীয় শৃংখলা বাদ দিয়ে , অগ্রাহ্য করে পরস্পর অবাধে মেলামেশা করবে তাকে স্বাধীনতা বলা হবে। সভ্য সমাজের কাছে তারুন্যের স্বাধীনতা বলতে বুঝায় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের উন্নয়নে তার মেধা মননকে বাধাঁহীন ভাবে শৃংখলা , শালীনতা বজায় রেখে কাজ করবে। যেখানে তরুণ তরুনী তার আদর্শগত, গঠনগত, প্রাকৃতিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যক্তিত্ব ও পরিশীলতা রক্ষা করে কাজ করবে স্বাধীনভাবে। তরুণ তরুণী উভয়ে এবং সমাজের মানুষ তার মৌলিক অধিকার খর্ব না করে শান্তিতে বসবাস করবে। সম্প্রতি আশার বিষয় হল আমাদের প্রশাসন বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হয়েছে। চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন হোটেল থেকে অনেক তরুণ তরুণীকে অবৈধ মেলামেশা অবস্থায় হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে, এবং সম্প্রতি সন্ধ্যার পর কোন তরুণ তরুনী কোন বিনোদন কেন্দ্রে অবস্থান করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এটি একটি ভাল দিক হলেও এরোগের চিকিৎসা স্থায়ী ও নির্মূলমূলক হওয়া বাঞ্চনীয়। এ মহামারী ঐক্যমতের ভিত্তিতে ব্যক্তি ,সমাজ , রাষ্ট্র , ও প্রশাসন সম্মিলিতভাবে এগিয়ে না আসলে তরুণ প্রজন্মের বিপথগামী হওয়ার যে ধারা শুরু হয়েছে তা আরও গভীরে গিয়ে পৌছবে। এ দেশের সভ্য, সুশীল, আভিভাবক, শিক্ষক সমাজ, এ দেশেরে প্রশাসনের পানে তাকিয়ে আছে কখন এ বিপথগামী , পথভ্রষ্ট তরুণ সমাজের আতংক থেকে মুক্ত হয়ে শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। তরুণ তরুণীর শুভ বুদ্ধির উদয় হয়ে তাদের আদর্শ,সুচিন্তা, শালীনতা , নৈতিকতা, ভদ্রতা, সকল প্রকার আদর্শহীনতা, কুচিন্তা,অশালীনতা, অভদ্রতাকে দূর করবে। তাদের সুন্দর কর্মের কারণে নিজে, তার পরিবার , রাষ্ট্র, এবং সমাজকে সম্মানীত করবে। এ ছোট্ট রাষ্ট্রটিকে আদর্শ ও সৃষ্টি দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে উজ্ঝল তেকে উজ্ঝলতর করবে। এমন তারুন্যের জয়গান কবি নজরুল ইসলামের সাথে এদেশের সকল সুশীল মানুষ কামনা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।