পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. এপিজে আবদুল কালাম তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন।
কালাম তাঁর বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় যুবসমাজকে উপদেশ প্রদানকালে তাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন ও মানুষের মাঝে স্মরণীয় হতে একজন মহান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু নাম উল্লেখ করে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণের আহ্বান জানান। ভারতের মরহুম এই প্রেসিডেন্ট গত বছর ঢাকায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ১১০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩ দিনের সফরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, তোমরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করো যে কিজন্য তোমরা স্মরণীয় হবে। এ অনুষ্ঠানে তরুণদের উপস্থিতিই ছিল বেশি।
প্রখ্যাত এই বিজ্ঞানী তাঁর সেই সফরে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফ্লেমে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে তিনি মিলনায়তনটির ছাদের দীপ্তিমান বাতির দিকে দৃষ্টি রেখে উপস্থিত অন্যদেরও সেদিকে তাকাতে বলেন। এরপর তাঁর সহজাত দরদী কন্ঠে উচ্চারিত হলো কিছু স্মরণীয় বাণী।
ভারত-রতœ আবদুল কালাম বললেন, বন্ধুগণ, উপরের দিকে দেখুন, কি দেখছেন, আলো। হ্যাঁ, এই দৃষ্টির সঙ্গে আমাদের চিন্তার জগতেও আলোড়িত হয়ে উঠেছে এর উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসনের বৈদ্যুতিক বাল্ব ও বৈদ্যুতিক আলোক ব্যবস্থা সৃষ্টির অবদানের কথা।
জনগণের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় কালাম তাঁর বক্তৃতাকালে শ্রোতাদের আপন করে তুলতে তাদের ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করেন।
বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, টেলিফোন বেজে উঠলে মনে পড়ে এর উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের নাম।
আর বাংলাদেশের জন্মের কথা মনে পড়লে ভেসে উঠে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। যিনি নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে সব বাধা-বিপত্তির বিরুদ্ধে কিভাবে সংগ্রাম করে এগিয়ে যেতে হয়, সে ব্যাপারে জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে পথ-নির্দেশনা দেয়ার জীবনই বেছে নিয়েছিলেন।
ভারতের ১১তম প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সৃজনী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তরুণ প্রজন্মকে সাফল্য অর্জনে বাঙালি জাতির পিতার মতো দূরদর্শিতার স্বাক্ষর স্থাপনের পরামর্শ দেন।
বিশাল স্বপ্নদর্শী প্রখ্যাত এই বিজ্ঞানী তরুণদেরও বড় বড় স্বপ্ন দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, তোমাদের স্বপ্ন হবে বাংলাদেশের স্বপ্ন, তোমাদের চিন্তা-ভাবনা হবে বাংলাদেশের চিন্তা-ভাবনা এবং তোমাদের কর্মকা- হবে বাংলাদেশের কর্মকা-।
অনাড়ম্বর জীবন-যাপনে অনুকরণীয় আবদুল কালাম আত্মার শুদ্ধতা ও চরিত্রের মাধুর্যকে সমুন্নত রেখ বঙ্গবন্ধুর মতো রাজনীতিতে যোগ দিতে শিক্ষার্থীদের উপদেশ দেন।
জ্ঞান সমৃদ্ধি আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের প্রবক্তা বিজ্ঞানী আবদুল কালাম অনেক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর আকাক্সক্ষার কথা ব্যক্ত করেন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রয়াসে সহায়তা করতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।