পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : তরুণদের তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও সেখানেই তাঁরা যৌন নিগ্রহের ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৮ বছর বয়সী তরুণদের ৮০ শতাংশ এমনটাই বিশ্বাস করে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়।
‘বিপদ ও সম্ভাবনাসমূহ : অনলাইনে বেড়ে ওঠা’ শীর্ষক গবেষণাটি আন্তর্জাতিক একটি জরিপের উপর করা হয়। ২৫টি দেশের ১৮ বছর বয়সী ১০ হাজারের বেশি ছেলেমেয়ের উপর জরিপটি চালানো হয়। গবেষণাটিতে তরুণদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮ বছর বয়সী ১০ জনের মধ্যে আটজনই বিশ্বাস করে, তরুণ প্রজন্ম অনলাইনে যৌন নিগ্রহের ঝুঁকিতে রয়েছে; অথবা এ ধরনের আচরণের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে। পাঁচজনের বেশি মনে করে, তাদের বন্ধুরা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে অংশ নেয়। দেশভেদে শতাংশের হার ভিন্ন দেখা গেছে। তবে গবেষণা বলছে, কিশোর-কিশোরীরা তাদের নিরাপদ থাকার বিষয়ে নিজেদের সামর্থ্য নিয়েও আত্মবিশ্বাসী।
ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা-বিষয়ক সহযোগী পরিচালক করনেলিয়াস উইলিয়ামস বলেন, তরুণদের তথ্যপ্রাপ্তিতে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন বিপ্লব বয়ে নিয়ে এসেছে। তবে অনলাইনে মেয়ে ও ছেলেদের নিগ্রহের বিষয়টি কতটা সত্যি, তা জরিপের ফলে উঠে এসেছে।
গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন শিশু। জরিপের ফলে অনলাইনে তরুণেরা কতটুকু নিরাপদ, তা তাদের উপলব্ধি থেকে বোঝা গেল। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী অনলাইনে তাদের বিপদ এড়াতে পারে। ১০ জনের মধ্যে ছয়জন জানায়, তারা অনলাইনে নতুন কারও সঙ্গে মেশা গুরুত্বপূর্ণ নয় অথবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখে। ৩৬ শতাংশ জোড়ালোভাবে বিশ্বাস করে, অনলাইনে কেউ নিজের সম্পর্কে মিথ্যা বললে তারা তা ধরতে পারে। অনলাইনে হুমকির মুখোমুখি হলে তারা বেশির ভাগই মা-বাবা অথবা শিক্ষকদের পরিবর্তে বন্ধুদের কাছে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।