মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ ভারতের হায়দরাবাদের নিজামের যাদুঘর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতে গিয়েছিল দু’ জন চোর। তারা সোনার কভার লাগানো মূল্যবান একটি কোরআন শরিফ চুরির জন্য হাত বাড়ায়। কিন্তু সে মুহূর্তেই মসজিদ থেকে ফজরের আজান শুরু হয়। ভয় পেয়ে কোরআন শরিফটি বাদ দিয়ে অন্যান্য কিছু মূল্যবান জিনিস চুরি করে পালিয়ে যায় তারা। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে এ চুরি ঘটে হলিউড-স্টাইলে। তবে চুরি যাওয়া মূল্যবান সামগ্রীগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চোর দু’জনকে। খবর বিবিসি।
চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল নিজামের সোনার টিফিন বাক্স। চার কেজি সোনা দিয়ে তৈরি তিন-স্তরের টিফিন বাক্সটিতে হীরা এবং চুনি ও পান্নার মতো মূল্যবান পাথর বসানো - যার মূল্য কয়েক কোটি রুপি । এ ছাড়াও ছিল চুনি-পান্না বসানো একটি সোনার কাপ, বাটি, ট্রে ও চামচ। এসব সামগ্রীর সবগুলোই পাওয়া গেছে ধরা পড়া লোক দু‘টির কাছে।
পুলিশ বলে, হায়দরাবাদের নিজাম নাকি কখনোই সোনার টিফিন বাক্সটি ব্যবহার করেন নি। কিন্তু চোরদের একজন গত কয়েকদিনে খাওয়া-দাওয়ার জন্য প্রতিবারই এই বাক্সটি ব্যবহার করেছে।
ওই দু'জন হায়দরাবাদের পুরানি হাভেলির একটি ঘুলঘুলির লোহার গরাদ কেটে ওই জাদুঘরে প্রবেশ করে বলে জানান হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার আনজানি কুমার।
পুলিশ বলছে, চুরি যাওয়া জিনিসগুলোতে যে পরিমাণ সোনা আছে তার দামই এক কোটি ভারতীয় রুপির সমান । আর দুর্লভ পুরোনো সামগ্রী বা 'অ্যান্টিক' হিসেবে এগুলোর মূল্য তারও অনেকগুণ বেশি । দুবাইয়ের বাজারে এগুলোর দাম ৩০-৪০ কোটি রুপিও হতে পারে।
এই চোরেরা এতই বুদ্ধিমান ছিল যে জাদুঘরে ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকলেও তাতে তাদের প্রায় কোন ছবিই ধরা পড়েনি। কারণ, তারা মাফলার দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল এবং ক্যামেরাগুলোর মুখ উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
লোক দু’টি এর পর মুম্বাইয়ে পালিয়ে যায় এবং একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠে । কিন্তু মূল্যবান জিনিসগুলোর কোন ক্রেতা না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত ফিরে আসে ও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
অভিযুক্ত দু জনের একজনের নাম গাউস, তার বয়েস ২৫ এবং সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ২৬টি মামলার হুলিয়া রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।