পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে একের পর এক চালান ধরা পরলেও থেমে নেই নতুন মাদক এনপিএস আমদানি। আরেকটি চালানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) বা খাত জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। আফ্্িরকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশের ২০টি আমদানিকারক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি ডাকে এসেছিল ওই মাদক।
গতকাল দুপুরে মালিবাগের সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ডিআইজি (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন এন্ড ইনটেলিজেন্স) মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে জিপিও বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে ৯৬ কার্টন ভর্তি এসব খাত উদ্ধার করা হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪’শ টাকা। তবে এ ঘটনায় কেউকে আটক করতে না পারলেও সোমবার পল্টন থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
দেশের কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নামে এই মাদকদ্রব্যগুলো এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ২০টি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে মাদকদ্রব্যগুলো আমদানি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা যাচাই-বাছাই করছি। তদন্তের স্বার্থে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি ডিআইজি শাহ আলম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে ঠিকানাগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যেহেতু এগুলো পোস্টঅফিসের মাধ্যমে এসেছে, কোনো বহনকারী নেই। তবে যারাই জড়িত থাকবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবার চাইতেও ক্ষতিকারক চা পাতার মতো দেখতে এ মাদকের সঙ্গে ইয়াবার কাচামাল মিশিয়ে ট্যাবলেট তৈরি করা যায়। এর আগে সর্ব প্রথম গত ৩১ আগস্ট দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো এলাকাসংলগ্ন রানওয়ের পাশে ৪৬৭ কেজি এনপিএস-এর চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজিমউদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে নাজিমউদ্দিনের শান্তিনগরের কার্যালয় ‘নওশিন এন্টারপ্রাইজ’ থেকে আরও ৩৯৪ এনপিএস জব্দ করা হয়। মোট ৮৬১ কেজি খাটের ওই চালান বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবার জিয়াদ মুহাম্মদ ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি। গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টম হাউস ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে ১৬০ কেজি এনপিএস’ জব্দ করা হয়। তবে ওই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এর দু’দিন পর ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ফরেন পোস্ট অফিস থেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) অভিযানে প্রায় ১৩৫ কেজি এনপিএস উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকেও আটক করা যায়নি। এ মাদকদ্রব্যের বাজারমূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।