মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গাদের কাছে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের ত্রাণ বিতরণের বিরুদ্ধে রাখাইনে বিক্ষোভ করেছে প্রায় ৩০০ আরাকানিজ। মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে আটকেপড়া রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি পায় রেডক্রস। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে মংডু শহর এলাকায়। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের অনলাইন দ্য ইরাবতি। হিন্দু স¤প্রদায়ের নেতা ইউ নি মাল ইরাবতী পত্রিকাকে ফোনে বলেছেন, ওই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ডাউনটাউন থেকে বিক্ষোভ বের করে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মংডু শাখা অফিস পর্যন্ত যায়। তিনি আরো বলেন, কয়েক মাস ধরে কয়েক শত হিন্দু শরণার্থীও খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন। কিন্তু তার সরকার প্রতিদিন জনপ্রতি দুই ক্যান কন্ডেসড মিল্ক বিতরণ করে। তাও বিরল। তারা কয়েক মাস ধরে কোনো আন্তর্জাতিক সহায়তা পাননি। তিনি আরো বলেন, মংডুতে হিন্দু শরণার্থীদের শিবির রয়েছে। কিন্তু এখানে কোন রেশন দেয়া হয়নি। তাই আমরা আন্তর্জাতিক রেডক্রসের প্রতি আবেদন জানিয়েছি। এখনও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ওদিকে মংডুর বিক্ষোভের খবরে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ওইদিন বিকেলেই একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই র্যালির বিষয়ে তারা অবহিত। এতে বলা হয়, মিয়ানমারের দিক থেকেই মংডুর সীমান্তের কাছে তাউং পাইও উপশহরে মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কমিউনিটি নেতা ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মিয়ানমারের ওই অনুরোধের বিষয়টি ব্যবহারিক অর্থেই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রেডক্রস মুভমেন্টের সব অংশীদার সব সময়ই মানুষকে নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন উপায়ে জরুরি সহায়তা দিয়ে আসছে। রাখাইনে সাম্প্রতিক নৃশংসতায় যেসব মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে সহায়তা দেয়ার ম্যান্ডেট আছে এ সংস্থার। তা পূর্ণাঙ্গভাবে পালন করে যাচ্ছে রেডক্রস। খবরে বলা হয়, কয়েক দিন আগে ওই শহর কর্তৃপক্ষ আরাকান জাতীয়তাবাদী ইউ সেইন হ্লা ফিউ’কে সোমবার বিক্ষোভের অনুমতি দেয়। কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা এমন একটি চিঠি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যাতে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও মিয়ানমার রেডক্রস সোসাইটির ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে শক্তিশালী প্রতিবাদ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাতে ওই ত্রাণ বিতরণকে বলা হয়, বাঙালি সন্ত্রাসীদের কাছে রেশন পৌঁছে দেয়া হিসেবে। ত্রাণ বিতরণের বিরুদ্ধে র্যালির বিষয়টি ফোনে সোমবার নিশ্চিত করেছে আরাকান ন্যাশনাল পার্টির কেন্দ্রীয় এমপি ইউ কাইওয়া কাইওয়া উইন। তার মতে, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও মিয়ানমারের রেডক্রস যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তিনি বলেন, মংডু এলাকার অধিবাসীরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক রেডক্রস রোহিঙ্গাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাচ্ছেন। তারা ওই এলাকায় অমুসলিম সংখ্যালঘুদের সমান মানবিক সহায়তা দেখাচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে গত কয়েক মাস ধরে সীমান্তের কাছে আটকে পড়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সি। ইরাবতি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।