নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, শেষটাও হলো ঠিক সেভাবেই। অভিষেকের মতো বিদায়ী টেস্টটাও সেঞ্চুরিতে রাঙালেন অ্যালিস্টার কুক।
মধ্যাহ্ন বিরতির বাকি তখন চার ওভার, জীবনের শেষ ইনিংসে কুকের সেঞ্চুরির জন্য দরকার তখনও ১০টি রান। কেনিংটন ওভালে দর্শকদের উত্তেজনা তুঙ্গে, বিরতির আগেই কি হয়ে যাবে কুকের সেঞ্চুরি? নাকি স্নায়ুচাপ নিয়েই কাটাতে হবে বিরতির ৪০ মিনিট সময়? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে কুক সময় নিলেন মাত্র ৭ বল।
ম্যাজিক্যাল সেঞ্চুরিটাও হয়েছে অদ্ভুতভাবে। ইনিংসের ৬৯তম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহকে মিডঅফ দিয়ে মারলেন বাউন্ডারি, ওই ওভারে দৌঁড়ে নিলেন আরো দুই। পৌঁছে গেলেন ৯৬ রানে। ক্যারিয়ারের ৩৩তম শতক থেকে তখন মাত্র একটি বাউন্ডারি দূরে। বাউন্ডারি মারতে হলো না কুককে। রবীন্দ্র জাদেজার শর্ট লেংথ বলটা খেলেছিলেন শর্ট থার্ডম্যানে। সেখান থেকে শুধু একটি রানই হওয়ার কথা, কিন্তু আগের ওভারে কুকের ব্যাটে বাউন্ডারি হজম করা বুমরাহ করলেন ওভারথ্রো, কুক পেলেন পাঁচ রান, পৌঁছে গেলেন ১০১ রানে। সেঞ্চুরি! ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ও শেষ টেস্টটি মিলে গেল এই বিন্দুতে।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে শেষবারের মতো উঁচিয়ে ধরলেন ব্যাট, গ্রহণ করলেন ওভালের পরিপূর্ণ গ্যালারির দাঁড়িয়ে জানানো সম্মান। সঙ্গে সঙ্গে করতালিতে মুখরিত পুরো কিংস্টোন ওভাল। যেন থামতেই চায় না। টানা মিনিট দুয়েক চললো দুই হাতের মিলন। তাতে বিব্রতই দেখা গেল সদা লাজুক কুককেও। সেটি বুঝতে পেরে আম্পায়ারের ইশারায় করতালির দমক থামলো বটে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে ঠিকই আওয়াজ তুলে চললো ওভালের প্রায় ২৫ হাজার জোড়াহাত।
২০০৬ সালে নাগপুরে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে হাঁকিয়েছিলেন ফিফটি (৬০), দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৪*)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ বছর কাটানোর পর বিদায় বেলায় ওভাল টেস্টেও করলেন নাগপুরের পুনরাবৃত্তি। প্রথম ইনিংসে করেন ফিফটি (৭১), দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি তুলে থেমেছেন ১৪৭ রানে।
ক্যারিয়ারের প্রথম ও শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কুক ঢুকে গেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত এক তালিকায়। যেখানে তার আগে নাম লেখাতে পেরেছেন মাত্র ৪ ক্রিকেটার। অভিষেক টেস্ট ও বিদায়ী টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো আগের ৪ ক্রিকেটার হলেন রেগি ডাফ (১৯০২-১৯০৫), বিল পন্সফোর্ড (১৯২৪-১৯৩৪), গ্রেগ চ্যাপেল (১৯৭০-১৯৮৪) ও মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন (১৯৮৪-২০০০)।
এছাড়াও টেস্ট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেলে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছেন কুক। নামের পাশে ১২৪০০ রান নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন সাঙ্গাকারা। ওভাল টেস্টের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত কুকের রান ১২৪২৮। এ তালিকার প্রথম চারজন হলে শচীন টেন্ডুলকার ১৫৯২১), রিকি পন্টিং (১৩৩৭৮), জ্যাক ক্যালিস (১৩২৮৯) ও রাহুল দ্রাবিড় (১৩২৮৮)।
তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও এখন তিনিই। এর মাঝে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ও বিদায়ী টেস্টের দুই ইনিংসেই ফিফটি-প্লাস রান করার কীর্তি গড়ে ছুঁয়েছেন ব্রুস মিচেলকে। কাকতালীয় হলেও সত্যি, দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান ১৯২৯ সালে অভিষেক টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছিলেন ৮৮ ও ৬১। ১৯৪৯ সালে নিজের শেষ টেস্টটাও খেলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই, প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫৬।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।