নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : প্লেয়ার্স ড্রাফটে যে দলটি হাতে পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, কাগজে-কলমে সেই দলটির শক্তি লটারী অভাগা গাজী গ্রæপের চেয়ে তুলনামূলক অনেক ভাল। দু’দলের বিদেশী ক্রিকেটার সংগ্রহেও এগিয়ে প্রাইম ব্যাংক। অথচ, প্লেয়ার্স ড্রাফটকে সামনে রেখে কোচ খালেদ মেহসুদ সুজনের চলে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে সর্বশেষ আসরের শিরোপাধারী প্রাইম ব্যাংক। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের শুরুতেই আপসেটের শিকার হয়েছে চ্যাম্পিয়নরা! ১০৬ রানের বিশাল জয়ে আসর শুরু করেছে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের নবাগত দল গাজী গ্রæপ।
টপ অর্ডারদের পারফরমেন্সই এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এগিয়ে দিয়েছে গাজী গ্রæপকে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া দুই টপ অর্ডার এনামুল বিজয় ও সামছুর রহমান শুভ’র ১১১ রানের জুটিতে দিনটি আলোকিত করার যে আভাস পেয়েছিল গাজী গ্রæপ, তা থেকে এতোটুকু নড়চড় হয়নি। এনামুল বিজয়ের ৬৭, সামছুর রহমান শুভ’র ৫৬ রানের ইনিংসে উদ্বুদ্ধ হয়ে মিডল অর্ডার মেহেদী হাসান প্রাইম ব্যাংক বোলারদের উপর চালিয়েছেন চাবুক। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের সঙ্গে এদিন লিস্ট ‘এ’ ম্যাচেও হয়েছে ২১ বছরের এই ছেলেটির অভিষেক। এমন অভিষেক ইনিংসকে স্মৃতিময় করতে উপহার দিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৫৮ বলে ফিফটি উদযাপনে ছন্দ পেয়ে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন খুলনার এই ছেলেটি ৮৮তম বলে। শেষ ৩০ বলে ৫০! ৮৯ বলে ১০৩ রানের ইনিংসে ছিল ৮ বাউন্ডারির পাশে ৫টি ছক্কা! দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪, তৃতীয় জুটিতে ৮৪ তে নেতৃত্ব দিয়েছেন গাজী গ্রæপের এই রিক্রুট।
ইনজুরিতে জাতীয় দলের বাইরে থাকা রুবেল ফিটনেস ফিরে পেয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন ঠিকই, তবে হারিয়েছেন চেনা ফর্ম। গতকাল ১ উইকেটে খরচা তার ৬৮! সামছুর রহমান শুভ তার এক ওভারে মেরেছেন তিনটি ছক্কা। তবে বোলার নয়, এদিন ব্যাটসম্যান রুবেলকে দেখেছে দর্শক (৪৫ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৪৫ রান)। ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক শুরুতে মেহেদী মারুফ, দিলশান মুনাবীরাকে হারিয়ে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়েও পেস বোলার শরীফ করেছেন দারুন বোলিং (২/২২), পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনা বাঁ হাতি স্পিনার সাইদ আনোয়ার জুনিয়রও করেছেন (৩/৩১) বোলিং। প্লেয়ার্স ড্রাফটে আইকন ক্যাটাগরীর দ্বিতীয় চয়েজ রুম্মানের ৩১, ইয়াসির আলীর ৫৬ এবং বোলার রুবেলের ৪৫ রানে ব্যবধানটা কেবল কমাতে পেরেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
ফতুল্লায় এদিন বিশাল জয়ে আবাহনী প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ শুরু করতে পেরেছে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে (৬/৩৪)। সর্বশেষ মওশুমে আবাহনীর একাদশে থাকার সৌভাগ্য মাত্র পেয়েছেন জুবায়ের ১টি ম্যাচে। জুবায়ের যেখানে টেস্টে কোচ হাতুরুসিংহের ট্র্যাম্প কার্ড, সেখানে ক্লাব ক্রিকেটে তার সার্ভিস নেয়ার প্রয়োজনই মনে করেননি আবাহনীর গতবারের কোচ সারোয়ার ইমরান। এবার আবাহনীর কোচ বদলে লীগের শুরুতেই গুগলি ভেল্কি দেখিয়েছেন জুবায়ের। গতকাল মেহরাব জুনিয়রকে শিকারের মধ্য দিয়ে শুরু তার ধ্বংসযজ্ঞ, এক স্পেলেই ৬ টি শিকার ( ৯.১-০-৩৪-৬) তার। তার ভয়ংকর বোলিংয়ে মাত্র ৪৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে মাশরাফির কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। মাত্র ১৪০ রানে অল আউট হয়েছে মাশরাফির দলটি। যে স্কোরের মধ্যে জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ মাসাকাদজার ৪১ এবং তাসামুলের ৩৭ ছাড়া বলার মতো অবদান নেই কারো।
শুরুতে তামীম রান অউটে ফিরে গেলেও মামুলি টার্গেট তাড়া করে জিততে মোটেও বেগ পেতে হয়নি আবাহনীকে। ১২৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে আবাহনী জিতেছে। তা সম্ভব হয়েছে অভিষেক মিত্র’র ৩২ এবং ভারতের পাঞ্জাব থেকে উড়িয়ে আনা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার উদয় কাউলের হার না মানা ৪৪’র সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মিডল অর্ডার নাজমুল হাসান শান্ত’র অবিচ্ছিন্ন ৩৫ এ।
সর্বশেষ আসরের রানার্স আপ প্রাইম দোলেশ্বর প্রত্যাশিত জয়ে শুরু করেছে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ। গতকাল বিকেএসপিতে দুই বোলার আল আমিন (৩/৩৬) এবং রেজাউলের (৩/২২) বোলিংয়ে সিসিএসকে ১৭৭ রানে অল আউট করে ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে বড় জয়ে লীগ শুরু করেছে প্রাইম দোলেশ্বর টপ অর্ডার ইমতিয়াজ তান্নার সেঞ্চুরিতে (১৪০ বলে ১০০)। ওপেনিং জুটিতে রনি তালুকদারকে নিয়ে ১০৬ রানে দিয়েছেন নেতৃত্ব তান্না। স ং ক্ষি প্ত স্কো র
আবাহনী-কলাবাগান কেসি
কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ঃ ১৪০/১০ (৩৩.১ ওভারে), জসিমুদ্দিন ১৬ মাসাকাদজা ৪১, তাসামুল ৩৭, তাসকিন ১/২৩, আবুল হাসান রাজু ১/২৮, সাকলায়েন সজীব ২/২৫, জুবায়ের ৬/৩৪।
আবাহনী ঃ ১৪২/৩ (২৮.৩ ওভারে), তামীম ৭, অভিষেক ৩২, লিটন ১২, উদয় কাউল ৪৪*, শান্ত ৩৫*, দেওয়ান সাবিবর ১/৭, নিহাদুজ্জামান ১/৩২।
ফল ঃ আবাহনী ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঃ জুবয়ের হোসেন লিখন (আবাহনী)।
প্রাইম ব্যাংক-গাজী গ্রæপ
গাজী গ্রæপ ঃ ৩০৩/৪ (৫০.১ ওভারে), এনামুল বিজয় ৬৭, সামছুর শুভ ৫৬, মেহেদী ১০৩, সাইদ আনোয়ার জুনি: ২৭, কাপালী ১৫*, ফারুক ২২*, রুবেল ১/৬৮, আজিম ১/৪৭, নাজমুল ১/৩৪।
প্রাইম ব্যাংক ঃ ১৯৭/১০ (৪৬.৩ ওভারে), দিলশান মুনাবীরা ৪, মেহেদী মারুফ ৭, রুম্মান ৩১, শুভাগত ৪, তাইবুর পারভেজ ৩০, সোহান ৫, ইয়াসির আলী ৫৬, রুবেল ৪৫, শরীফ ২/২২, সাইদ আনোয়ার জুনি: ৩/৩১, মইনুল ২/৪৯।
ফল ঃ গাজী গ্রæপ ১০৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঃ মেহেদী হাসান (গাজী গ্রæপ)।
প্রাইম দোলেশ্বর-সিসিএস
সিসিএস ঃ ১৭৭/১০ (৩৯.২ ওভারে), পিনাক ৩৫, সফিউদ্দিন ৩১, সাইদ সরকার ৩৪, আল আমিন ৩/৩৬, রেজাউল রাজিব ৩/২২।
প্রাইম দোলেশ্বর ঃ ১৮১/২ (৪৫.২ ওভারে), ইমতিয়াজ তান্না ১০০, রনি ৪৭, রকিবুল ২৭*, শফিউদ্দিন ১/২৫, সাইফ ১/১৮।
ফল ঃ প্রাইম দোলেশ্বর ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঃ ইমতিয়াজ তান্না (প্রাইম দোলেশ্বর)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।