মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আকাশে উড়ছেন। একটি বোতামে টিপ দিন। পাখা ভাঁজ হয়ে যাবে। উড়ন্ত যানটি নেমে আসবে রাস্তায়। হয়ে যাবে পুরোদস্তুর গাড়ি। আবার যখন প্রয়োজন হবে বোতামে টিপ দিন। পাখা খুলে যাবে। আবার আকাশে উড়বে গাড়ি।
হ্যাঁ, ফ্লাইং কার বা উড়ন্ত গাড়ির যুগ আসছে। আপনি দিগন্তরেখায় দেখতে পাবেন উড়ন্ত গাড়ি। খুব শিগগিরই বিক্রির জন্য বাজারে আসতে চলেছে এ ফ্লাইং কার বা উড়ন্ত গাড়ি। উড়ন্ত কার ও ট্যাক্সি নির্মাণের জন্য চলছে জোর প্রতিযোগিতা। আপনি যেমনটা ভাবছেন, দেখা যাবে তার চেয়ে আগেই বাজারে এসে গেছে গাড়ি। শিগগিরই হয়ত তা কিনতে সক্ষমও হবেন আপনি।
গুগলের জনক কোম্পানি অ্যালফাবেট তিন রকম উড়ন্ত গাড়ির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এগুলো হল ঃ কোরা, ফ্লায়ার ও ব্ল্যাকফ্লাই।
জুলাই মাসে রোলস রয়েস ও অ্যাস্টন মার্টিন একটি উড়ন্ত ট্যাক্সি নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু একটি কোম্পানি উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণ করে আকাশ দখলের প্রতিযোগিতায় আর সবাইকে হারিয়ে দিতে পারে।
সবচেয়ে ভালো গাড়িটি ২০১৯ সালে বিক্রির জন্য বাজারে আসবে। অটোমোটিভ কোম্পানি গিলির এক শাখা প্রতিষ্ঠান টেরাফুগিয়া একটি দু’আসন বিশিষ্ট উড়ন্ত গাড়ির নকশা প্রকাশ করেছে। এ মডেলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভাঁজ করা পাখা এবং এক মিনিটের মধ্যেই তা বিমানে রূপ নেবে। জেটসনের মত যন্ত্রের গতি হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১শ’ মাইল। এক ট্যাংক গ্যাসে এটি ৪শ’ মাইল যেতে পারবে। উঠতে পারবে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায়।
অতএব আর সব যানবাহনকে বিদায় বলার সময় আসছে। যুক্তরাষ্ট্রে যারা ভাবছেন যে ফেডারেল এভিয়েশন রেগুলেশনের আওতায় এসব বিষয় আটকে যাবে, তাদের চিন্তার কারণ নেই। টেরাফুগিয়া বলেছে, তাদের উড়ন্ত গাড়ির নকশা ইতিমধ্যেই এফএএ-র অনুমোদন পেয়েছে। এটা গাড়ির আকারে যে কোনো গ্যারেজে রাখার উপযুক্ত। এটা চালাতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি বিমান চালনার লাইসেন্সেরও দরকার হবে।
অতএব ফ্লাইট স্কুলে ভর্তি হওয়ার কথা এখনি বিবেচনা করুন।
রূপান্তরকৃত মডেলের উৎপাদন শুরু হবে ২০১৯ সালে। এতে থাকবে প্যারাস্যুট, অত্যাধুনিক উড্ডয়ন যন্ত্রপাতি এবং রিয়ারভিউ ক্যামেরা। এর মূল্য কত হবে তা জানা যায়নি। তবে কোম্পানি দ্রুতই এ ব্যাপারে জানানোর পরিকল্পনা করেছে।
অনেকেরই বিশ্বাস যে উড়ন্ত গাড়ি হেলিকপ্টারের চেয়ে নিরাপদ ও কম আওয়াজ সম্পন্ন হবে। এর ব্যবহার মারাত্মক ট্র্যাফিক জ্যামের শিকার নগরীর রাস্তাগুলোতে স্বস্তি নিয়ে আসবে। এ উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দর বা হেলিপ্যাডের বদলে ড্রাইভওয়ে বা পার্কিং গ্যারেজে অবতরণ করা যাবে।
এখন অনেক রকমের উড়ন্ত গাড়ি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। নিশ্চিত যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চমকপ্রদ খবর মিলবে।
জানা গেছে উবার প্রতিষ্ঠান ‘উবার এয়ার’ নামে তাদের উড়ন্ত গাড়ি ২০২০ সালে বাজারে আসবে। তবে বাণিজ্যিক চলাচল শুরু করবে ২০২৩ সালে।
এদিকে জানা গেছে, উড়ন্ত গাড়ি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান স্যামসন স্কাই এ পর্যন্ত ৮শ’ গাড়ির অর্ডার লাভ করেছে। তাদের ফ্লাইং কারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা সুইচব্লেড, আকাশ ও মাটিতে চলাচলের উচ্চ সক্ষমতা সম্পন্ন এবং ১৯০ মাইল এর গতিবেগ। স্যামসন স্কাই জানায়, অর্ডার দাতাদের মধ্যে রয়েছে ২৪টি দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬টি অঙ্গরাজ্য। সুইচব্লেড এ ফ্লাইং কারকে অন্যগুলো থেকে পৃথক করেছে। সূত্র : কার অ্যান্ড ড্রাইভার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।