বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এবার এক হাজার ৬২৬টি মণ্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ থেকে এসব পূজামণ্ডপকে তিন ভাগে বিভক্ত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৫শ মণ্ডপকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বা স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এছাড়া আরো সাড়ে ৫শ মণ্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর সাধারণ বা ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে ৫শ মণ্ডপকে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারো বরিশাল মহানগরীতে ৭০টি ছাড়াও জেলায় ৫০৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৭৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ আর গুরুত্বপূর্ণ ১৯৪টি। পটুয়াখালীতে ১৮১টি মণ্ডপের মধ্যে ৭৫টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ। ভোলাতে দুর্গাপূজার সংখ্যা ১০৩টির মধ্যে ৪৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ। পিরোজপুর জেলায় এবার ৪৪৪টি মণ্ডপের মধ্যে ১২০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১৪০টি গুরুত্বপূর্ণ। বরগুনাতে মোট ১৫০টির মধ্যে ৫৫টি মণ্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর ৬৯টি গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। ঝালকাঠি জেলায় ১৭০টির মধ্যে ৫৩টি মণ।ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৪৪টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পুলিশ বিভাগ থেকে পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তমূলক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বরিশাল মহানগর পুলিশ ও বরিশাল রেঞ্জ-এর শীর্ষ পর্যায় থেকে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।
প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র ও নিরস্ত্র পুলিশ ছাড়াও আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের বিশেষ শাখা ছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশ এবং সাদা পোশাকে সশস্ত্র পুলিশও নজরদারি করবে। ইতোমধ্যে প্রতিটি জেলার এসপি স্থানীয় পূজা কমিটির সাথে একাধিক বৈঠক করে পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে মতবিনিময় করে দিক-নির্দেশনাও প্রদান করেছেন। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি বিষয়টি নিয়ে সবগুলো জেলার এসপিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। প্রতিটি থানার ওসিদের সাথে সংশ্লিষ্ট এসপি’দের নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করতেও বলা হয়েছে। পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স ছাড়াও প্রতিটি জেলার স্পেশাল আর্মড ফোর্স থেকেও থানা পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠান হচ্ছে।
এদিকে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার সর্বশেষ গত বুধবার পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় করেছেন। তিনিও কমিটি মতামত গ্রহণসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এবার পূজামণ্ডেবে আসেপাশে কোন ধরনের মেলা বসতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জনের সময়সূচিও ঠিক করে দেয়া হয়েছে। এবারের দুর্গাপূজা শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত কোন ধরনের বিশৃংখল পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন। পাশাপাশি পূজাকে কেন্দ্র করে কোন মাদকের ব্যবহারকে কঠোরভাবে দমনের কথা তিনি পূজা উদযাপন পরিষদকে জানিয়েছেন। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে পুলিশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও মহানগর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।