নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি থেকে কয়েক ফুট দুরে দাঁড়িয়ে কেঁদেই ফেললেন নাওমি ওসাকা। কিছুক্ষণ আগেই ‘ছোটবেলার আদর্শ সেরেনা উইলিয়ামস’কে হারিয়ে ইউএস ওপেনের এই ট্রফিটির নিশ্চয়তা পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী। গড়েছেন ইতিহাস। জাপানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের কীর্তি এখন নাওমির। জাপানজুড়ে তাই শুরু হয়েছে নওমিকে নিয়ে মহোৎসব।
দুর থেকে যারা এই খবর জানছেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখা দরকার- ম্যাচ শেষে দিনটি নাওমির হলেও যারা চর্মচোক্ষুতে ম্যাচটির সাক্ষি হয়েছেন তাদের কাছে দিনটি বিতর্কেরও। রেফারি কার্লোস রামোসের সঙ্গে একাধিকবার বাক বিতণ্ডে জড়িয়ে পড়েন সেরেনা। এসময় রামোসকে ‘চোর’ ও মিথ্যেবাদী আখ্যাও দেন ‘আমেরিকান কৃষ্ণকলি’।
সে যাই হোক, উন্মুক্ত যুগে রেকর্ড গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সেরেনার সামনে সুযোগ ছিল সর্বকালের সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী মার্গারেট কোর্টের ২৪ শিরোপার রেকর্ড স্পর্শ করার। সুযোগটা এ যাত্রায় হাতছাড়া করেছেন। কোন গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জেতে সদ্য কৈশর পেরুনো এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কাজটা তার জন্যে সহজই ছিল। কিন্তু মেজাজ হারিয়ে সেটাকে কঠিন করে ফেলেন ৩৬ বছর বয়সী। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছেন ৬-২, ৬-৪ গেমের সরাসরি সেটে।
রেফারির উপর খোভ ঝাড়লেও নাওমিকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি সেরেনা, ‘চলুন আর আমরা বাজে না বকি। অভিনন্দন নাওমি।’ এক বছর আগে কন্যাসন্তানের মা হওয়া সেরেনা বলেন, ‘আমি জানি এখন সবাই নাওমির সঙ্গে শিরোপাজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করবে। এভাবে শেষ হওয়াতে আমি দুঃখিত।’
রেফারির সঙ্গে সেরেনার যাই হোক দিনটা যে নাওমির তা বলা যায়। তবে এভাবে ম্যাচ শেষ হোক তা চাননি নাওমি, ‘ম্যাচটা এভাবে শেষ হওয়ায় খারাপ লাগছে।’ স্কুলে যখন নাওমি তৃতীয় গ্রেডের ছাত্রী তখন সেরেনাকে নিয়ে একটা রিপোর্ট লিখেছিলেন। সেই নাওমি ছোটবেলার আদর্শকে হারিয়ে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিলেন। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘যখন আমি সেরেনাকে আলিঙ্গন করলাম তখন নিজেকে খুব বাচ্চা মনে হচ্ছিল।’
কিছুদিন আগে ভুমিকম্প ও টর্নেডোয় বিধ্বস্ত হওয়া ‘সূর্যোদয়ের দেশ’টি কিছুটা হলেও আনন্দের উপলক্ষ খুঁজে পেল নাওমির এই ঐতিহাসিক জয়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার এই জয়কে কেন্দ্র করে উৎসব শুরু হয়। দেশটির খ্যাতনামা সংবাদমাধ্যম ‘আসাহি শিম্বুন’ তার জয়কে উৎসর্গ করে অতিরিক্ত সংস্করণ বের করে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টুইট করে জানান, ‘জাপানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপাজয়। গোটা জাপানকে লড়াইয়ের শক্তি ও প্রেরণা যোগানোর জন্য ধন্যবাদ।’
জাপানিজ মা ও হাইতিয়ান বাবার সঙ্গে ফ্লোরিডায় থাকেন নাওমি। নাগরিকত্ব আছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের। তবে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন জাপানের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।