মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কমিউনিকেশনস কম্প্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট (কমকাসা) চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তির ফলে অত্যাধুনিক মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারবে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারমণের টু প্লাস টু বৈঠক শেষে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে চীনের উত্থান ঠেকাতে সা¤প্রতিক সময়ে কাছাকাছি এসেছে বিশ্বের বৃহত্তম দুটি গণতান্ত্রিক দেশ। বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্য সামনে রেখে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। আসিয়ানের মতো সংস্থার সদস্য হিসেবেও এ প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ভারত।’ সুষমা স্বরাজ আরো বলেন, ‘বৈঠকটির মাধ্যমে আমরা নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতের প্রবেশ দ্রুততর করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’ ভারতে আগমনের পূর্বে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও পাকিস্তান সফর করেন এবং ইসলামাবাদে দেশটির নতুন সরকার ও সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমকাসা চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে রাশিয়ার এস-৪০০ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম ক্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে সর্বশেষ এ মিথস্ক্রিয়ার ব্যাপারে মাইক পম্পেও বলছেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ লালন করে এবং আমাদের লক্ষ্য এ মূল্যবোধ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া। আমরা একটি মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে যাব।’ আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতির কারণে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান ও ভারতের রেষারেষিতে বেশ সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন। এছাড়া পাকিস্তানের পশ্চিমাবিরোধী ও ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই এ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য মুখিয়ে ছিল, যার মাধ্যমে নয়াদিল্লির কাছে সহজেই সংবেদনশীল সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে পারবে ওয়াশিংটন। বিষয়টি প্রতিধ্বনিত হয়েছে নির্মলা সিতারমণের কথায়ও। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন, ‘আমাদের আলোচনার একক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল প্রতিরক্ষা।’ চুক্তিটি সম্পন্ন হলে ভারতের কাছে সশস্ত্র গার্ডিয়ান ড্রোন বিক্রি করতে পারবে ওয়াশিংটন, এর আগে শুধু নিরস্ত্র নজরদারি ড্রোন বিক্রি করতে পারত তারা। এনডিটিভি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।