মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন আফগানিস্তানের সেনাদের চীনের মাটিতে প্রশিক্ষণ দেবে। বেইজিংয়ে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত এই সামরিক সহযোগিতাকে আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের তৎপরতা মোকাবেলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে কমব্যাট হেলিকপ্টার দেয়ার জন্যও চীনকে অনুরোধ জানিয়েছে আফগানিস্তান। রাষ্ট্রদূত মোসাজাই রয়টার্সকে এ সব তথ্য জানান। বেইজিং গত মাসে জানিয়েছে, আফগানিস্তানে তারা কোন সেনা পাঠাবে না। তবে দুই দেশের সংযোগকারী ওয়াখান করিডোরে একটি মাউন্টেন ব্রিগেড গড়ে তোলার ব্যাপারে আফগানিস্তানকে সহায়তা করবে তারা। এসএএম। নাগালের বাইরে যাচ্ছে মিয়ানমার সঙ্কট
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমার এখন সঙ্কটে। গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালানো এবং সেইসাথে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ‘তদন্ত ও বিচার’ করার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচসিআর) মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এই আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এসব অপরাধকে ‘আন্তর্জাতিক আইনে সন্দেহাতীতভাবে ভয়াবহতম অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করে। বর্তমানে মিয়ানমারবিষয়ক নজর রাখাইন রাজ্যে। এখানে দমন অভিযানের ফলে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘ মিশনের তদন্তে দেখা গেছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অপরাধ কেবল রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নয়, কচিন ও শানের মতো জাতিগত সঙ্ঘাতপূর্ণ এলাকাতেও দেখা গেছে। রাখাইন রাজ্যে সঙ্কটের মাত্রাগত কারণে বৈশ্বিক মিডিয়ায় তা ব্যাপক নজর কেড়েছে। আর এর ফলে কচিনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের তথ্য তেমনভাবে প্রচারিত হয়নি। কচিনের যুদ্ধকে ‘বিস্মৃত সঙ্ঘাত’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও কচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) মধ্যে ২০১১ সালে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়লে সঙ্ঘাত প্রবল হয়। চলতি বছর সহিংসতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। বর্তমানে কচিন ও শান রাজ্যের ১৪০টি আশ্রয় শিবিরে এক লাখ ছয় হাজার লোক বেসামরিক লোক বাস করছে। কাচিন রাজ্যে সহিংসতার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছে। সামরিক বাহিনী বেসামরিক এলাকায় বিমান হামলা চালাচ্ছে, ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। গত সপ্তাহে মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিভিন্ন প্রমান তুলে ধরে। তারা জানায়, সরকার সেখানে মানবিক সহায়তা প্রদানের সুযোগ দিচ্ছে না। সেখানে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার কথাও জানানো হয়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।