Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:২৩ পিএম
পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বগুড়া ও সোনারগাঁয়ে দুজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসী আপন ওরফে সিজার (৩২) ও  বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া চারটার দিকে ডাকাত মোবারক হোসেন (৪০) নিহত হয়। এঘটনায় পুলিশের মোট ছয় সদস্য আহত হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ডেস্ক রিপোর্ট।
বগুড়া ব্যুরো জানায় : বগুড়া শহরতলীর মাটিডালী, মানিকচক ও জয়বাংলা বাজার এলাকার ত্রাস আপন ওরফে সিজার (৩২) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরতলীর মাটিডালী ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে কর্ণপুর এলাকার নূর হোসেন খন্দকারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বগুড়ার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে শহরতলীর মাটিডালী ব্রিজের কাছে একদল দুস্কৃতিকারী ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছে জানতে পেরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এর নেতৃত্বে সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান সহ থানার টহলরত একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে আহত ব্যক্তিকে আপন ওরফে সিজার (৩২) হিসেবে সনাক্ত করে। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি এবং নিহত সিজারের পকেট থেকে একটি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। 
সনাতন চক্রবর্তী আরও জানান, থানার রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী আপন ওরফে সিজারের নামে ৫টি অস্ত্র মামলা সহ এগারোটি মামলা রয়েছে। সে শহরতলীর মাটিডালী, মানিকচক, জয়বাংলা বাজার এলাকার ত্রাস ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। 
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান : সোনারগাঁয়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের দুই সদস্যসহ ৩ জন আহত হয়। নিহত ডাকাত সদস্যের নাম মোবারক হোসেন (৪০)। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া চারটার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত মোবারক হোসেন পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাবেরচর গ্রামের হাজী ইয়াছিন মিয়ার ছেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর ব্রীজের পশ্চিমপার্শে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে পুলিশের তিনটি টিম আষাঢ়িয়ারচর ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশের উপর গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাতদল পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত মোবারক হোসেন ও বাবু ওরফে টেরা বাবুসহ ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতদের সাথে গুলি বিনিময়কালে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদশর্ক (এএসআই) নারায়ণ চন্দ্র দাস ও পুলিশ কনস্টেবল মুমিনুর রহমান আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্য ও ডাকাতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাত মোবারক হোসেন মারা যায়। গ্রেফতারকৃত অপর ডাকাত সদস্যরা হলো রহমত উল্লাহ, বাবু, মোঃ শরীফ, রানা মিয়া, বাবু ওরফে টেরা বাবু ও মোঃ হৃদয়। পুলিশ দুটি গুলিসহ একটি ওয়ান শুটার অস্ত্র উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত রহমতউল্লাহ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে। বাবু চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার করিয়া গ্রামের মৃত. কামাল মিয়ার ছেলে, বাবু ওরফে টেরা বাবু সোনারগাঁ উপজেলার ঝাউচর গ্রামের আমানউল্লাহর ছেলে, মোঃ শরিফ সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত. মজিবুর ড্রাইভারের ছেলে, রানা মিয়া পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার আলী হোসেনের ছেলে, ও মোঃ হৃদয় একই জেলার বাউফল থানার গুলবাগ গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। ওসি আরো জানান, নিহত ডাকাতের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ১০টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দুকযুদ্ধে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ