নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। ভুটানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের নজর এখন পাকিস্তান জয়ের। সেই লক্ষ্যেই আজ সন্ধ্যা ৭টায় দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি ও চ্যানেল নাইনে।
‘এ’ গ্রুপে টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচটি জিতলেই বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে, যদি দিনের প্রথম ম্যাচে নেপাল-ভুটান ম্যাচ ড্র হয়। তাই জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনেকদিন পর প্রতিযোগিতাটির শেষ চারে ওঠার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
জয় দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে দুই দলই। বাংলাদেশ ২-০ গোলে ভুটানকে আর পাকিস্তান ২-১ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। শুধু যে স্বাগতিকদের সামনে সেমিফাইনালের হাতছানি, তা শুধু নয়। বাংলাদেশের সমান ৩ পয়েন্ট থাকায় পাকিস্তান জিতলেও শেষ চারের পথে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের আগে বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হবে নেপাল-ভুটান। এই ম্যাচটি ড্র হলে এবং বাংলাদেশ জিতলে তারা সরাসরি চলে যাবে শেষ চারে।
বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে অবশ্য সমীহ করছেন প্রতিপক্ষকে, ‘কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। ইউরোপে খেলা কিছু ভালো ফুটবলার আছে তাদের দলে। শারীরিকভাবে তারা শক্তিশালী বলেও আমি জানি। প্রথম ম্যাচ জেতায় তারাও আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে। তাই ম্যাচ থেকে আমাদের কিছু পয়েন্ট পেতে হলে সেরা ফুটবল খেলতে হবে।’
শারীরিকভাবে পাকিস্তান এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে এতটুকু চিড় ধরছে না। কোচের বক্তব্য, ‘শারীরিকভাবে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল। আমরা আত্মবিশ্বাসী। ছেলেরা ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছে। ম্যাচ থেকে কিছু পেতে হলে আমাদের ভালো মানের ফুটবল খেলতে হবে।’
আজকের ম্যাচে ভিন্ন কৌশলেও মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ। তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন জেমি, ‘এটা ভিন্ন একটা ম্যাচ। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ভিন্ন কৌশলে, ভিন্ন খেলোয়াড়ও খেলানো হতে পারে। আমরা জানি কীভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। এছাড়া শারীরিকভাবে শক্তিশালী খেলোয়াড় আমার দলেও আছে। যদি আমরা ম্যাচ জিতি তাহলে সবার আগে সেমিফাইনালে উঠব, তাই আমরা জিততে চাই। হারের জন্য নয়, জয়ের জন্য নামব আমরা।’
সব মিলিয়ে ১৬বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই দল সমানে সমান। ছয়টি করে জয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের, বাকি চারটি ড্র। সাফের পরিসংখ্যানেও কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে নেই। দুটি করে জয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। বাকি দুই ম্যাচ ড্র। অবশ্য ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে সাফের শেষ দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানও সমীহ করছে স্বাগতিকদের। নিজেদের মাঠ ও দর্শকদের সামনে বাংলাদেশ যে বাড়তি সুবিধা পাবে, সেটাই জানালেন পাকিস্তানের ব্রাজিলিয়ান কোচ জোসে আন্তোনিও নোগুইরা, ‘স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন। এশিয়ান গেমসে তো তারা ভালো খেলেছে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।