পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে নিজামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাত্র ২০ ফুট দুরে নদীর উওাল ঢেউ। একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামে দু’টি ভবন দাঁড়িয়ে আছে নদীর পাড়ে। তারপরও থেমে নেই শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠদান।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ জন শিক্ষকসহ ২২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আগে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি থাকলেও নদী ভাঙ্গনের কারনে শিক্ষার্থী কমে গেছে। স্কুলের মাঠ অনেক আগেই বিলীন হয়েছে। ভবন দুইটিও যায় যায় অবস্থা। ভাঙ্গন ঠেকাতে মাটি ফেলার কাজও চলছে। তার পরও থামছেনা। এর ফলে দুই শতাধিক কেমলমতি ছাত্র ছাত্রীর পড়ালেখায় দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যালয়ের ভবন দু’টি যে কোনো সময় নদীতে বিলিন হয়ে যাবে মনে করছেন স্থানীয়রা। তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুরাইয়া বেগম রিমতি জানায়, জোয়ারের সময় স্কুল পানিতে ডুবে যায়। সে সময় বই খাতা নিয়ে বেঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পানি কমলে আমরা সবাই বাড়ি যাই। ওই গ্রামের বাসিন্দা মো.বেলায়েত খাঁন বলেন, অমাবস্যা ও পুর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানিতে সব ডুবে থাকে। রাস্তা মেরামত না হওয়ায় ক্রমশই দূর্ভোগ বাড়ছে।
প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল আলম ভদ্র বলেন, ওই ইউনিয়নের নিজামপুর, পুরান মহিপুর, তালতলী নিশানবাড়ীয়াসহ কয়েকটি গ্রামের ছেলে মেয়েরা এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। চোখের সামনেই নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বিদ্যালয় মাঠ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুল রক্ষার জন্য কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আবেদন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বছর বেরিবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।