পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : ভয়াবহ অব্যাহত নদীভাঙনে খুলনার দাকোপের ৩৩ নম্বর পোল্ডারের চুনকুড়ি খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকার অর্ধশত পরিবারের বসত ঘরবাড়ি চুনকুড়ি নদীর নোনাপানিতে বিলীন হয়েছে। এরপর পার্শ্ববর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে রাস্তার পাশে বসবাসরত অন্তত ৫০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
ভাঙনকবলিত এলাকার কৃষকরা জানান, এক সময় আমাদের ভিটেমাটি, কৃষিজমি সবই ছিল। কিন্তু অব্যহাত নদীভাঙনে সবই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, আমরা হয়েছি সর্বস্বান্ত। সবকিছু হারিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার পাশে কোনো রকম ঝুপড়িঘর বেঁধে বসবাস করছিলাম। তাও এবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তারা আরো বলেন, চুনকুড়ি নদী থেকে অবিরাম বালু উত্তোলনের ফলে এ ধরনের নদীভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো, কিভাবে বাঁচব ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে চুনকুড়ি নদীতে কয়েকটি পরিবার তাদের বসত ঘরবাড়ি হারানোর পর পার্শ্ববর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে রাস্তার পাশে বসবাসরত প্রায় ৫০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নদীগর্ভে ঘরবাড়িহারা পরিবার-পরিজন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল ভাঙনকবলিত স্থানে দ্রুত বিকল্প রাস্তা নির্মাণ ও নদী শাসন করার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ আবুল হোসেন চুনকুড়ি নদীতে বসত ঘরবাড়িহারা পরিবারের সদস্যদের সাথে সরেজমিন কথা বলেছেন এবং তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনান্তে তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।