নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এক সপ্তাহ ধরে তুমুল সমালোচনা আর তীব্র প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হওয়ার পর অবশেষে হাসি ফুটটেছে হোসে মরিনহোর মুখে। টানা হারের পর বার্নলির মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে তার দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধে দশজনের দল নিয়ে খেললেও প্রথমার্ধে রোমেলু লুকাকুর করা জোড়া গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
ম্যাচ শেষে উচ্ছাস প্রকাশ করেন মরিনহো, বলেন, ‘এই ফলাফলে আমি খুশি।’ তবে সুযোগ পেয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় সাংবাদিকদের এক হাত নিতে ভুল করেননি। স্বঘোষিত স্পেশাল ওয়ানের ভাষ্য, ‘কিন্তু আপনাদের মধ্যে কিউ কেউ (আমার জয়ে) হতাশ। আমরা হারলেই বরং আপনাদের জন্য ভালো হয়।’
মরিনহোর এমন ক্ষেপে যাওয়ার আরো কারণ আছে। ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিট আগে টার্ফ মুর স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে উড়ে যায় একটি বিমান। যার নিচে টাঙানো ছিল একটি ব্যানার। সেখানে লেখা -‘এড উডওয়ার্ড, একজন ব্যর্থতা বিশেষজ্ঞ!’ উডওয়ার্ড হলেন ক্লাটির বর্তমান এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান। ক্লাব ডিরেক্টরের অনুপস্তিতিতে উডওয়ার্ডের ঘাড়েই দায় চাপাচ্ছেন পাগলা সমর্থকরা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নেরই সোজাসাপ্টা উত্তর দেননি মরিনহো। আগের ম্যাচে টটেনহ্যামের কাছে ৩-০ গোলে হারের পরও সপ্তাহটা তার মন্দ কাটেনি বলে মন্তব্য করেন। সংবাদপত্র পড়েন না বলেও জানান পর্তুগিজ কোচ। ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের শরীর গরমের সময় তাদের মাথার উপর দিয়ে কিছু উড়ে গেছে কিনা এমন পশ্নে মরিনহো বলেন, ‘আমি বিমান দেখিনি। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম না।’
টার্ফ মুর স্টেডিয়ামে এদিন ২ হাজার ৪৩৩জন ইউনাইটেড ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। দলের অনুশীলনের সময় তারা মরিনহোকে নিয়ে গান গাইতে থাকেন। পাঁচ মিনিট পর সেই গানে মরিনহোর নাম পাল্টে যায়। ঘটনাক্রমে মরিনহো এর জবাব দেন হাত তালি দিয়ে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর সেই সব সমর্থকদের সামনে গিয়ে হাততালি দেন মরিনহো। যদিও সমর্থকরা কোচের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণক নয়, তার পরও তারা কোচের কাজকে কখনো কঠিন করে তুলতে পারেন। বিশেষ করে এই ধরণের কাচে একজন কোচের উপর পাহাড়সম চাপ তৈরী হয়।
মাঠে বাজে আচরণের জন্য ম্যাচের ৭১তম মিনিটে ক্যারিয়ারের প্রথম লাল কার্ড দেখেন মার্কাস রাশফোর্ড। এজন্য ক্লাব ও সমর্থকদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
একই রাতে ওয়াটফোর্ডের মাঠে ২-১ গোলে হেরে যায় টটেনহ্যাম। টানা তিন জয়ের পর মৌসুমের চতুর্থ ম্যাচে এসে হোঁচট খেলো মাউরিসিও পঁচেত্তিনোর দল। পক্ষান্তরে চেলসি ও লিভারপুলের পর চার ম্যাচে শতভাগ জয় ধরে রাখল ওয়াটফোর্ড। প্রথমার্ধে গোলশূন্য স্কোরবোর্ড স্পার্সদের পক্ষ নেয় ওয়াটফোর্ড মিডফিল্ডার আবদৌলাই দৌকৌরির আত্মঘাতি গোলে। কিন্তু ৭৬ মিনিটের মধ্যে অধিনায়ক ড্যানি ও ক্রেইগ ক্যাথচার্টের হেডারে উল্টো এগিয়ে যায় ওয়াটফোর্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।