Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বি.বাড়িয়ায় সড়কে দোকান বরাদ্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট বাজারে সড়কের ওপর দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ঘর তুলে ফেলা হয়েছে। এ কারণে নৌপথে আসা পণ্য উঠানামা করানো ও নৌ যাত্রীদেরকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ক্ষোভ বিরাজ করছে যাত্রীসহ এলাকার মানুষের মাঝে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোকর্ণঘাট বাজারের পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছোট ছোট নৌযান বিভিন্ন এলাকার দিকে ছেড়ে যায়। ওইসব নৌযান দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আনা নেয়াসহ আশেপাশের একাধিক উপজেলার লোকজন চলাচল করে। নৌযানের যাত্রীরা যে সড়ক দিয়ে চলাচল করে ও যেখান দিয়ে পণ্য উঠানামা করানো সেই রাস্তাটি পাকা করা। পাকা ওই রাস্তার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে টিনের ঘর উঠানো। ফলে পণ্য উঠানো নামানো ও যাত্রীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গোকর্ণঘাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইয়াকুব মিয়া বলেন, ৫১ বছর যাবত এ বাজারে ব্যবসা করছি। যেখানে ঘর তোলা হয়েছে সেখান দিয়েই আমরা মালামাল উঠানামা করতাম ও নৌযানের যাত্রীরাও এ পথ দিয়েই চলাচল করতো। কিন্তু এখানে ঘর উঠানোয় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও গোকর্ণঘাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ফেরদৌস মিয়া বলেন, জায়গাটি সরকারি। কিন্তু মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা রাস্তাটি পাকা করে দেই। রাস্তা পাকার করার পরই সরকারি লোকজন এসে এখানে ঘর তুলে দিয়ে যায়। বলা হয়, জায়গাটি লিজ দেয়া হয়েছে। এতে পণ্য উঠানো নামানো ও যাত্রীদের চলাচালে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, সরকারি ওই জায়গাটি প্রয়োজনে রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের জন্য কয়েকজন মিলে লিজ নেয়ার আবেদন করে। কিন্তু সেটা না করে দোকানঘর হিসেবে বরাদ্দ দিয়ে সেখানে ঘর উঠানোয় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. সোহেল রানা বলেন, যে জায়গাটিতে পাকা রাস্তা করা হয়েছে সেখানে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয় মাস চারেক আগে। কয়েকজন অবৈধ দখলদার উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছুদিন আগে ওই জায়গায় পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। জনগণের স্বার্থের কথা অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। ওইখানে সরকারি জায়গায় যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সরিয়ে নিলেই চলাচলের রাস্তা বের হবে। কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ