শেরপুর জেলা সদরের নিভৃত পল্লীতে তিন বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে সদর উপজেলার রৌহা কলাপাড়া গ্রামের দরিদ্র রিকশা চালক আ: মোতালেব মেয়ে এবং স্থানীয় এইচএম মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত রোববার রাত আটটার দিকে রৌহা কলাপাড়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীর বক্তব্য ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রৌহা কলাপাড়া গ্রামের বখাটে যুবক শাকিল (২০), মাসুদ (১৮) ও শিপন (২০) প্রায়ই স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে উত্যক্ত করতেন। শাকিল প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সে তা প্রত্যাখান করায় এরই জের ধরে এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সুযোগ খুঁজছিল। এক পর্যায়ে গত রোববার রাত আটটার দিকে তাকে রৌহা কলাপাড়া গ্রামের এক প্রতিবেশী ছাত্রীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ওই তিন যুবক পথরোধ করেন এবং মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে পার্শ¦বর্তী একটি বাঁশঝাড়ের নিচে নিয়ে যায়। এ সময় বখাটে যুবক শিপনের সহযোগিতায় প্রথমে শাকিল ও পরে মাসুদ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
এক পর্যায়ে তার ডাক-চিৎকারে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই তিন বখাটে যুবক এলাকাবাসির উপস্থিত টের পেয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর আত্মীয়-স্বজন তাকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন। পরে গতকাল সোমবার সকালে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত যুবকদের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে ঘটনার পর থেকে ওই যুবকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।