Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুতুবদিয়া উপকূলে সক্রিয় জলদস্যুরা ফিশিং ট্রলারে গণডাকাতি আহত ১০

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৯:১৬ পিএম

সাগরের কুতুবদিয়া উপকূলে সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে জলদস্যুরা। এরা ফিশিং বোটে ডাকাতি ও মুক্তিপণ আদায় করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের লাশের খাড়ি নামক স্থানে ফিশিং বোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ওখানে কুতুবদিয়া উপকূলের ৫টি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫টি ফিশিং ট্রলার গণডাকাতি কবলে পড়ে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ডাকাতদলের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রে ৪ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ১ জেলে আহত হয়েছে বলে জানা গেছ। গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলো, মাঝি শফিউল্লাহ (৪০) মোঃ আলী (৩০) কামাল (২৮) মোঃ আনিচ (৩২)। বর্তমানে (গুলিবিদ্ধ) জেলেরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মাঝি শফিউল্লাহ জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে কুতুবদিয়া উপকূলের আকবর বলী ঘাট হতে গভীর সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যায় তারা। কুতুবদিয়া উপকূল হতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার অদূরে বঙ্গোপসাগরের লাশের খাড়ি নামক স্থানে মাছ ধরারত অবস্থায় অন্য ট্রলার যোগে ১৪/১৫ জন অস্ত্রধারী জলদস্যুদল তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে জলদস্যুরা গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় তার ট্রলারের চার জেলে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ১০ জন। গত শনিবার রাতে ট্রলারটি উপকূলে ফিরে এলে গুলিবিদ্ধ জেলেদের প্রথমে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এফ,বি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলারের মালিক নুরুল হুদা জানান, গত শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে জলদস্যুরা তার ট্রলারে হামলা চালিয়ে ট্রলারসহ ১৫ জেলেকে দুই দিন ধরে জিম্মি করে মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে জেলেদের ছেড়ে দেয়।

একই অবস্থায় তাবলরচর গ্রামের সফর মুল্লুক কোম্পানির ট্রলারটি ডাকাতের কবলে পড়ে। এছাড়াও মাঝি শফিউল্লাহর দেখা মতে জলদস্যুরা সাগরে আরো ১৫টি মাছ ধরার ট্রলারের মালামাল লুট করে নিয়েছে।

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউসের জানান, কুতুবদিয়া থানার তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ডাকাত পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও বর্তমানে বহিরাগত ডাকাতরা কুতুবদিয়ায় এসে অবস্থান নিয়েছ। তবে তারাও ধরা পড়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত থানার তালিকাভুক্ত ডাকাত ছাড়াও অন্যান্য উপজেলা প্রায় ১৫জন জলদস্যুকে আটক করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।

কুতুবদিয়া থানায় নৌযান না থাকায় সাগরে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশের করার কিছু নেই। সাগরে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদারে করলে ডাকাতি দমন হতো বলে তিনি জানান।
কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, সাগরে জলদস্যুরা মালামাল লুটের ধরণ পাল্টে ট্রলার আটক পূর্বক জেলেদের জিম্মি করে নগদ মুক্তিপণের টাকা আদায় করছে নিচ্ছে তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ