Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বেপোয়ারা গতিতে ওভারটেক করতে গিয়েই ঝরল ৭ প্রাণ

গেইটম্যান ঘুমিয়ে থাকায় চট্টগ্রামে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বাসের ২ যাত্রীসহ সারা দেশে সড়কে নিহত ১৫

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

আমি বিআরটিসি বাসে ছিলাম। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে বাসটি ছাড়ার পর থেকেই দ্রুতগতিতে চলছিল। বাস ছাড়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বিকট শব্দ শুনতে পাই। এরপর জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে। এভাবে অশ্রুসক্তি আর আতঙ্কগ্রস্থ চিকিৎসাধীন এক যাত্রী নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। অন্য এক যাত্রী জানান, অটোরিক্সাকে ওভারটেক করতে গিয়ে বগুড়া থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধাগামী বিআরটিসি বাস ও ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরগামী রাব্বি পরিবহনের গেটলক বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে মহিলা, শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া গেইটম্যান ঘুমিয়ে থাকায় চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট রেল ক্রসিংয়ে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বাসের ২ যাত্রী, সীতাকুন্ডে ট্রাকচাপায় এক প্রতিবন্ধী নারী, কুড়িগ্রামের উলিপুরে বালু ভর্তি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে একজন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জনসহ আরো ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমাদের ব্যুরো ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন
রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রংপুর শহরের বিজিবি সদর দপ্তরের কাছে খান পেট্রলপাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী বিআরটিসি বাস (বগুড়া-ব ১১-০০২৬) রংপুর নগরীর সিও বাজার এলাকায় একটি অটোরিক্সাকে ওভারটেক করতে গেলে বিপরীত দিক দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী গেটলক পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিকট শব্দে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে আহত নিহতদের উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে দুটি বাস দুমড়েমুচড়ে যায়। কিছুক্ষন পর দমকল বাহিনী ও পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুক বর্মন গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী রোকসানা (২০), সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী অমিজন (৪৫), পঞ্চগড়ের শাহীন মিয়া (১২), ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লী এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে আব্দুর রহমান (৭০), নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের নয়নখাল গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নুরবানু (৪৫) এবং মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী সুমি আক্তার (২২)। এদের মধ্যে শাহীন ও সুমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
ওসি মোখতারুল ইসলাম জানান, দুটি বাসই আটক করা হয়েছে। তবে ড্রাইভার আর হেলপারকে আটক করা যায়নি। জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মান্নাদ কবিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো ও মীরসরাই উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট রেল ক্রসিংয়ে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খাগড়াছড়িগামী এস আলম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাসের ২ যাত্রী ও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ট্রাকচাপায় আছমা বেগম (৬৫) নামের এক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। গতকাল (রোববার) ভোরে এই দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে তিন ঘন্টা রেল চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ময়নসিংহ থেকে চট্টগ্রামমুখী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বারইয়ারহাট বাজার এলাকা অতিক্রম করছিল। এসময় পার্বত্য সড়কের রেলগেট খোলা দেখে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িগামী যাত্রীবাহি এস আলম পরিবহনের বাস (চট্টমেট্রো ব- ১১-০৭০৩) রেলগেট পার হচ্ছিল। কিন্ত রেললাইনের মধ্যখানে পৌঁছার সাথে সাথেই ট্রেনটি সজোরে বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি অন্তত ৩০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই বাসের ২ যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে একজন সুনির্মল চাকমা (৫০) খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের কর্মচারী। অপর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া বাসটিকে থাকা ৩০ জন যাত্রীর সকলেই কম-বেশি আহত হয়। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মীরসরাইয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা রবিউল আজম ও জোরারগঞ্জ থানার এসআই বিপুল দেবনাথ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও উদ্ধার কর্মীদের পৃথক পৃথক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মস্তাননগর ও চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জিআরপি পুলিশের সীতাকুন্ড জোন ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বাসটি সরিয়ে নেয়। এসময় অন্তঃত ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর সকাল ৭টা নাগাদ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রুটের সাথে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ চালু হয়। মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ অমিত দে জানান, ১৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, বারইয়ারহাট রেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেইটম্যান আরিফের অবহেলায় উক্ত দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত এক বছরে ৪টি দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে। প্রত্যক্ষদর্শী বারইয়ারহাট মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার সময় ক্রসিংয়ের গেটম্যান আরিফ ঘুমিয়ে ছিল। প্রায়শই সে ঘুমিয়েই থাকে। সিগনাল না দেয়ায় এবং গেট না ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে পুলিশের সীতাকুন্ড সার্কেলের এএসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই রেলগেইটে রাতের পালায় ডিউটি ছিল গেইটম্যান আরিফের। তাকে আর দুর্ঘটনার পর খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার সময় সে রেল গেইটে ছিল কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর সকালের পালার গেইটম্যানকে আমরা পেয়েছি। গেইটম্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব রেলের ডিআরএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি হয়েছে, তারা সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলবেন। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিভিশনাল ট্রাফিক অফিসার ফিরোজ ইফতেখারকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ট্রাকচাপায় আছমা বেগম (৬৫) নামের এক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার কদমরসুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আছমা বেগম মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি সীতাকুন্ডের কদমরসুল এলাকার সালাউদ্দীনের স্ত্রী। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবীব জানান, রাস্তা পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাক আছমা বেগমকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘাতক ট্রাক ও লাশটি উদ্ধার করেছে।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও এক পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৪৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে এখনও হতাহতদের কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মহিপুর বাজার ও ধুনটমোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. রতন হোসেন জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমান ১টার দিকে বগুড়াগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ঢাকাগামী চাঁদনী পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ঘ হয়।
এতে ঘটনাস্থলে ২ জন এবং উভয় বাসের প্রায় ৪৬ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে একজন মারা যান। এদিকে শেরপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় জানান, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকাগামী এসআর ট্রাভেলসের একটি বাস ধুনটমোড় এলাকায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কার্গো ট্রাককে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই বাসের এক যাত্রী নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এসব ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও কার্গো আটক আটক করেছে পুলিশ। তবে পলাতক থাকায় বাসের চালক ও চালকের সহকারীদের আটক করা সম্ভব হয়নি। বগুড়া শহরের ছিলিমপুর টাউন ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) আব্দুল আজিজ মন্ডল জানান, উভয় দুর্ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্যসহ আহত ৪৬ জনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে তিনি হতাহতদের কারো নাম পরিচয় জানাতে পারেননি।
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের উলিপুরে বালু ভর্তি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাহেদুর রহমান (৩৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল রাত ৮টার দিকে কুড়িগ্রাম-উলিপুর সড়কের হেলিপ্যাড নামক স্থানে। নিহতের শ্যালক জানান, সাহেদুর রহমানসহ তারা কুড়িগ্রাম থেকে নতুন রিকশা কিনে বাড়ি ফিরছিল। কুড়িগ্রাম-উলিপুর সড়কের হেলিপ্যাড নামকস্থানে পৌঁছিলে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি বালু ভর্তি ট্রাক্টর কুড়িগ্রামগামী একটি নাইট কোচকে ওভারটেক করার সময় তাদের রিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে রিকশায় বসা সাইেদুল রহমান ছিটকে পড়লে সে ট্রাক্টরের চাকা পিষ্ট হয়। উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা সাহেদুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলায় ভবানীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি লেগুনা উল্টে ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে স্থানীয় কাজী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত সবাই বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। নাওজোর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার মজুমদার জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় হতে একটি যাত্রীবাহী লেগুনা শ্রীপুরের উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় পৌঁছালে লেগুনার চালক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে চলন্ত অবস্থায় উল্টে যায়। এ সময় লেগুনায় থাকা ১২ জন যাত্রী আহত হন। এলাকাবাসি তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।



 

Show all comments
  • ওমর আলী ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৩১ পিএম says : 0
    আমি পুলিশ হতে চাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ