নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দীর্ঘ ৩২ বছর পর এশিয়াডে পদকশূণ্য থাকলো বাংলাদেশ। তবে জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমসে লাল-সবুজের হকি ও ফুটবল দল কিছুটা হলেও আলো ছড়িয়েছে। ফুটবলে প্রথমবারের মতো নক আউট পর্বে উঠে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩ দল ইতিহাস গড়ার পর লাল-সবুজের হকি দল ষষ্ঠস্থান পেয়ে এবারের এশিয়াড শেষ করেছে। গেমসে বাংলাদেশের অংশ নেয়া ১৪ ডিসিপ্লিনের মধ্যে ফুটবল ও হকি বাদে বাকি ১২ ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা শুধু হতাশই করেননি, যাচ্ছে-তাই পারফরমেন্স করে জাতিকে লজ্জা দিয়েছেন। ফলে তিন দশকেরও বেশি সময় পরে ইন্দোনেশিয়া থেকে খালি হাতেই ফিরছে বাংলাদেশ ক্রীড়া দল। তবে সুখের কথা এই যে গেমসের হকি ডিসিপ্লিনে ষষ্ঠ হওয়ার সুবাদে লাল-সবুজরা আগামী এশিয়ান গেমস ও এশিয়া কাপে সরাসরি খেলার সুযোগ করে নিয়েছে। এ দুই আসরে তাদেরকে আর বাছাই খেলতে হবে না। যদিও জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমস হকির পঞ্চমস্থান পাওয়ার লড়াইয়ে গতকাল অনুজ্জল ছিলো বাংলাদেশ হকি দল। উজ্জল থাকবেই-বা কিভাবে এ ম্যাচে যে প্রতিপক্ষ এশিয়ান গেমস হকির চারবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। তবে তাদের বিপক্ষে পঞ্চমস্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের লড়াইকু খেলা আশা করেছিলেন দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। কিন্তু না, মাঠের লড়াইয়ে রাসেল মাহমুদ জিমি, মামুনুর রহমান চয়নরা তা দেখাতে পারেননি। অনেকটা অসহায় আতœসমর্পণ করেছেন তারা।
কাল দুপুরে জাকার্তার জেবিকে হকি মাঠে স্থাননির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া ৭-০ গোলে বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে পঞ্চমস্থান পেয়ে এশিয়াড হকি শেষ করলো। গেমসে বাংলাদেশের ৬ ম্যাচে এটি তৃতীয় হার। আসরের ‘বি’ গ্রæপে নিজেরদের পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জয় পেয়ে লাল-সবুজরা আগেই ষষ্ঠস্থান নিশ্চিত করেছিল। সামনে ছিল এশিয়াডে সেরা সাফল্য পাওয়ার হাতছানি। পঞ্চমস্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারাতে পারলে তা এশিয়ান গেমস হকিতে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। অবশ্য সেটা না হলেও এশিয়াডে ৪০ বছর পর ষষ্ঠস্থান পাওয়াটা কম কৃতিত্বের নয়। জাকার্তায় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেই নিজের ১২ বছরের ক্যারিয়ারের অবসান ঘটালেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ খ্যাত মামুনুর রহমান চয়ন। তার অবসর গ্রহণের মুহূর্তে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া দলের খেলোয়াড়রা সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে স্টিক উঁচিয়ে গার্ড অব অনারে চয়নকে বিদায়ী সম্মান জানান।
এবার এশিয়ান গেমস হকির গ্রæপ পর্বে ওমানকে ২-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৬-১ গোলে হারানোর পর তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলে হার মানে তারা। আর চতুর্থ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজরা। ফলে পঞ্চমস্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলার যোগ্যতা পায় বাংলাদেশ। সঙ্গে সঙ্গে ষষ্ঠস্থান নিশ্চিত করে তারা। যদিও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫-০ গোলে হেরে যান জিমি-চয়নরা। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ হকি দলের প্রেরণা ছিলো এশিয়াডে ৪০ বছর পর ষষ্ঠস্থান নিশ্চিত হওয়া। যদিও সেই প্রেরণা কাজে লাগেনি। তারপরও বলা যায়, সফল একটি এশিয়ান গেমসই শেষ করলো লাল-সবুজের হকি সেনানীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।