নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনকে সামনে রেখে কারো সঙ্গেই কোনও সমঝোতা হয়নি। যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো সেই প্রক্রিয়াতেই ৩০ এপ্রিল বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ কথাগুলো বলেছেন, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বাফুফে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে উত্তেজনা যেন ততই বাড়ছে। গতকাল দিনভর নির্বাচন নিয়ে নানা গুঞ্জন রটেছে। কিন্তু দিন শেষে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন আ জ ম নাছির উদ্দিন। এদিন বাফুফে ভবনে গুঞ্জন ছিল, নির্বাচন হবে না। সরকারের নির্দেশে সমঝোতামূলক প্যানেল হচ্ছে। সন্ধ্যার ঠিক আগে এক সংবাদ সম্মেলনে নাছির বলেন,‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই ৩০ এপ্রিল বাফুফে নির্বাচন অবাধ, গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত কোনও সমঝোতা হয়নি। সমঝোতার উদ্যোগও নেয়া হয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’ বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে সরকার কিংবা সরকারি দলের কোনও প্রভাব নেই বলে জানান আ জ ম নাছির। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ বাফুফে নির্বাচনে সরকারের কোনও প্রভাব নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতা বা কোনও নির্দেশনা আছে বলেও আমার জানা নেই।’ নাছির যোগ করেন,‘আমি একজন মেয়র, ক্রীড়া সংগঠক ও একটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী বাফুফে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে কাউকে কোনও নির্দেশনা দেননি। এমনকি তিনি কারো সঙ্গে দেখাও করেননি।’
বাফুফে নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি’র নেপথ্য ভূমিকা নিয়ে কদিন ধরেই যে গুজব বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল, তা উড়িয়ে দিয়েছেন নাছির। নির্বাচনে পাপনের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর চট্টগ্রামের মেয়র বলেন, ‘আমার জানা মতে বাফুফে নির্বাচনে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি’র কোন ভূমিকা ও আগ্রহ নেই। উনি বেশ ক’দিন দেশের বাইরে ছিলেন। পরশু এসেছেন। আবার কাল (আজ) বিদেশে চলে যাবেন। ফিরবেন ২৪ এপ্রিল। পাপন কোনমতেই বাফুফের নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তবে নির্বাচন উপলক্ষ্যে কেউ তার সঙ্গে আলাপ-পরামর্শ করার জন্য যেতেই পারে। কিন্তু তাতে কিছু প্রমাণিত হয় না।’
আ জ ম নাছির আরো বলেন,‘আমার সংগঠনের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু জরুরি সভায় আমাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেন কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেলকে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে। আমরা জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ থেকে ৭ প্রার্থী দিয়েছি সালাউদ্দিনের প্যানেলে। তাই এখনও এই প্যানেলকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। অন্য কোন প্যানেলের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই ওঠে না। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন আলোচনাও হয়নি। যে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে তা সত্য নয়।
উল্লেখ্য, এর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দিনকে সভাপতি ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিনকে প্রধান সমন্বয়কারী করে গঠন হয়েছে কাজী সালাউদ্দিনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
নিজ সংগঠন নিয়ে নাছির বলেন, ‘বাফুফের নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমরা আলোচনা করছি। মোটামুটি একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। এই নির্বাচনে জেলা পর্যায়ে প্রচুর ভোটার আছে। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নেতৃত্ব দেই আমি। জেলায় ও বিভাগে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন আমরাই করে থাকি। বিভিন্ন ফেডারেশনের নির্বাচনের সময় আমাদের সংগঠনের একটি ভূমিকা থাকে। আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের কাজ করি। আমি আজ (গতকাল) ঢাকায় আসার পর বাফুফে নির্বাচনের প্রায় সব প্রার্থীই আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। বলতে পারেন অনেকটা সমর্থন পাওয়ার জন্যই তারা আমার কাছে আসেন। তবে আমি কাউকে কোন কথা দেইনি। আমি মনে ৩০ এপ্রিল একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দেখতে পাবেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।