অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই তা প্রকাশ করা হবে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে লাইলা টাওয়ারে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বহুজাতিক কর, নিরীক্ষা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারস (পিডবিউসি) বাংলাদেশ শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন বেইক ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড মিলে। এ ছাড়া পিডবিউসি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান দীপক কাপুর, ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ, পরিচালক অভিজিত মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।                                 
উদ্বোধনের পর পিডবিউসি বাংলাদেশের কার্যালয় ঘুরে দেখেন অর্থমন্ত্রী। এরপর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, রিপোর্টটি আমি পড়ি নাই। রিপোর্ট বের হবে আফটার দ্য ফাইনালাইজেশন অব রিপোর্ট।
রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন সরকারের কাছে বুধবার জমা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন অর্থমন্ত্রীর কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেন।
এ সময় ফরাসউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। প্রতিবেদনটি সরকার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুক। এ জন্য সরকারকে দম নেওয়ার সময় দিতে হবে, হজম করার জন্য সময় দিতে হবে এবং সরকারকে একটু সময় দেওয়াটা খ্বু ফেয়ার হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার বলেছে, বিষয়টি তারা আগে পরীক্ষা করবে, তারপর এ বিষয়ে আপনাদের (মিডিয়া) সঙ্গে কথা বলবে।
ঘটনার সঙ্গে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত কি না’ কিংবা ‘প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে কি না’ জানতে চাইলে ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘সরকারকে জিজ্ঞেস করতে হবে। প্রতিবেদনটি পড়ার পর হয় সরকার কথা বলবে, নতুবা আমাদের বলবে কথা বলার জন্য। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট’- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সন্তুষ্ট না হলে কোনো কাজে হাত দিই না।
উল্লেখ্য, ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনকে প্রধান করে গত ১৫ মার্চ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২০ মার্চ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ২২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে তদন্ত কমিটি।