মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মেকে হত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ যুবক নাঈমুর জাকারিয়া রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২১ বছর বয়সী এই যুবক ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে ঢুকে টেরেসা মেকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল বলে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এই সাজা দেয়া হয়।-খবর বার্মিংহামমেইলের।
খবরে বলা হয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস সদস্য জাকারিয়া ডাউনিং স্ট্রিটের ফটকে বোমা পুতে, প্রহরীদের হত্যা করে টেরেসা মেকে বন্দুক ও গুলি দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
গত জুলাই মাসে লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালত নাইমুরকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। শুক্রবার আদালত তার শাস্তি নির্ধারণ করে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
নাইমুর উত্তর লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। গোয়েন্দারা জাল বিস্তার করে গত বছরের ২৮ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করেন।
অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের অশালীন ছবি পাঠানোর সন্দেহে গত বছর আগস্টে নাইমুরকে আটক করেছিল পুলিশ। তখন তার মোবাইল ফোনে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পেয়ে তার পিছু নেন কর্মকর্তারা।
এরপর লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভের সন্ত্রাস দমন কর্মকর্তাদের একটি ছদ্মবেশী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠেন নাইমুর। ব্রিটেনে হামলা চালানোর জন্য তিনি ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
আদালতে বলা হয়, সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেয়া এক চাচার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নাইমুরের। ওই চাচাই তাকে ব্রিটেনে হামলা চালানোর জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। সিরিয়ায় ড্রোন হামলায় চাচার মৃত্যুর পর এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোন নাইমুর।
বিচারের সময় আদালতে আইএস সদস্য পরিচয় দেয়া এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে টেলিগ্রাম অ্যাপে নাইমুরের পাঠানো বিভিন্ন মেসেজ পড়া হয়। গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি লিখেছিলেন, আপনি কি আমাকে স্লিপার সেল এএসএপিতে নিতে পারেন? আমি পার্লামেন্টে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাতে চাই। আমি টেরেসা মেকে মারার একটি চেষ্টা করতে চাই।
হামলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাইমুর গত নভেম্বরে হোয়াইট হলের আশপাশ ঘুরে দেখেন এবং বিস্ফোরক নিতে যুতসই মনে করে একটি ব্যাগ তিনি ছদ্মবেশী একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দেন।
২৮ নভেম্বর ওই পুলিশ কর্মকর্তা নকল বিস্ফোরক ভরে ওই ব্যাগ ও একটি জ্যাকেট নাইমুরকে দিয়ে বলেন, এখন তিনি এগিয়ে যেতে পারেন।
কেনসিংটনের ওই জায়গা থেকে হাঁটা শুরু করার পরপরই নাইমুরকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।