পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পেছনে সরকার জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাত্র হতে যাচ্ছে, আর মাত্র তিন মাস বাকী। তার আগেই মেশিন দিয়ে ভোটের এই ধরনের ব্যবস্থার পেছনে একটি বিরাট ষড়যন্ত্র আছে। এই ষড়যন্ত্রের সাথে সরকার ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। গতকাল (শুক্রবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনই জাতীয় সংকট সমাধানের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইভিএমে বিরোধীতা করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, কারা এই মেশিনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে? কার কাছে পাসওয়ার্ড থাকবে? কে এই মেসিন নিয়ন্ত্রণ করবে? যেই নির্বাচন কমিশনের উপরে আমাদের কোনো আস্থা নাই, সেই কমিশনের অধীনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে- এটা আমরা প্রত্যাখান করি। এই ইভিএমের মেশিন চালু করার সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখান করছি।
তিনি বলেন, ইভিএমে ভোটে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের এই আইন তো সংসদে পাস করাতে হবে। সংসদ কাদের? বর্তমানে যারা সরকারে আছে তারাই তো নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের সমর্থন ছাড়া আইন তো এই পাস করা সম্ভবপর হবে না। আইন তো পাস করা না হলে সুতরাং এই মেশিন ও চালু করা যাবে না। ইভিএমের বিষয়ে নির্বাচনের কমিশনের তড়িঘড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, হঠাৎ করে এরকম পদক্ষেপ মানুষের মনের মধ্যে প্রশ্নের উদ্বেগ করেছেন। এই প্রশ্নের জবাব আমরা এখন পর্যন্ত পাই নাই। যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা হ্যাকিং করে অর্থ পাঁচার করা যায় সেই দেশের মেশিন দিয়ে ভোট নেবেন। আর তার উপরে মানুষের আস্থা থাকবে এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, যে দেশে হ্যাকিং করে টাকা পাঁচার করা যায় সে দেশে মেশিনকে ম্যানিপুলেট করা কোনো কঠিন কাজ নয়। ইভিএম মেসিনের পুনর্গণনাসহ নানা ত্রু টির কথা তুলে ধরে মওদুদ বলেন, এই ইভিএম পদ্ধতির ওপরে মানুষের আস্থা কোনো দেশেই নাই। জার্মানিতে বন্ধ করে দিয়েছে জার্মান সুপ্রিম কোট। ইতালিতে নাই, তারা চেষ্টা করেছিলো প্রত্যাখান করেছে। আয়ারল্যান্ডের মানুষ প্রত্যাখান করেছে। এমনকি ভারতে ৭৩ ভাগ মানুষ এই ইভিএম চালু করার বিরুদ্ধে
মতামত দিয়েছে। দুই-একটা প্রদেশে তারা চেষ্টা করেছিলো সেটা সফল হয় নাই। এমন কোনো দেশ নাই যে দেশ তারা দেখাতে পারবে ইভিএম পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবং কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় নাই।
ইভিএম ক্রয়ের পেছনের দুর্নীতি রয়েছে অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, এই মেশিন কিনে লুটপাট হবে। এটি ক্রয়ের ব্যাপারে দুর্নীতি জড়িত আছে, কমিশনের একটা ব্যাপার আছে। এই যন্ত্রগুলো আনা হবে, জনগণের টাকা দিয়ে এটা এনে এই অর্থ নষ্ট হবে। এই মেশিন কোনো দিন ব্যবহার হবে না। যেই টাকা ব্যয় হবে সেটা নিজেরা লুন্ঠন করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে এটাকে একটা বাণিজ্য হিসেবে তারা দেখবে।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাসাস সহসভাপতি শাহরিন ইসলাম শায়লা, শেরে বাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রফিকুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।