পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নীতির প্রশ্নে কখনও আপোস নয়। এটাই হচ্ছে আমার কথা। আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি, কিন্তু কখনো পদ-পদবি চাইনি। আমি, কামাল; আমরা ভাই-বোন সবাই যাকে যখন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে দায়িত্ব পালন করেছি। শোকের মাস আগস্টের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, কখনও গুলি, কখনও গ্রেনেড হামলা করে আমাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পরোয়া করিনি। আমি যে পথে যাচ্ছি সঠিক পথে যাচ্ছি। বাংলার জনগণের জন্য যাচ্ছি। আমার বাবা-মা পরিবারের সবাই জাতির জন্য জীবন দিয়ে গেছে এই জাতির মুখে হাসি ফোটানো
আমার একমাত্র দায়িত্ব। শিশুদের ঘাড়ে পা রেখে একটি মহল রাজনৈতিক মিথ্যাচার ছড়িয়ে ফায়দা লুটতে চেয়ে ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের অনেকে আঁতেল আবার আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় বিদেশ থেকে চাপ আসছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তাদের এ কর্মকান্ডের কারণে অনেক শিশুর জীবন যেতে পারতো। তিনি বলেন, শিশুদের বিক্ষিপ্ত মনকে পুঁজি করে যারা ফায়দা লুটতে চেয়েছিল তাদের কথা দেশের সবার মাথায় রাখা উচিত। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা, সেই ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল, বিকৃত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নামটি সাত ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। ২১ বছর পর্যন্ত তারা এটা করেছে। শত প্রতিক‚লতার মাঝেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এদেশের জনগণ জাতির পিতার নাম ধরে রেখেছিল। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সত্যকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না, সত্য উদ্ভাসিত হবেই। ৭ মার্চের সেই ভাষণ এখন ইউনেস্কোর প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। তিনি বলেন, এখন অনেকে রাজনীতি করে নিজেদেরকে শুধু প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য, আবার কেউ রাজনীতি করেন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। কিন্তু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে যারা রাজনীতি করে ইতিহাস শুধু তাদের স্বীকৃতি দেয়। শত চেষ্টা করেও তাদের নাম মুছে ফেলা যায় না। সেই দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আদর্শ যদি মেনে চলে যায়, দেশের জন্য কিছু করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি শুধু পাওয়ার হিসাব কষার জন্য নয়, কতটুকু দেশকে দিতে পারলাম, কতটুকু মানুষের জন্য করতে পারলাম, কতটুকু মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলাম সেখানেই সবচেয়ে বড় পাওয়া। এটা মনে করে যারা রাজনীতি করে তাদের কিছু চাইতে হয় না, ইতিহাস তাদের ম‚ল্যায়ন করে। ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্যদেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্চিত চন্দ্র দাস সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন,
ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মো. ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, দক্ষিণের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী।
দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল নেপাল থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি বিমসটেকের চতুর্থ সম্মেলনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার নেপাল যান।
প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে সকালে সদস্য সাতটি দেশের নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রী বিমসটেকের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করেন।
বিমসটেক সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে শেখ হাসিনা মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে যৌথ প্রচেষ্টা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং অর্থায়ন প্রক্রিয়া গড়ে তোলার মাধ্যমে বিমসটেক ফোরামে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী এবং বিমসটেক নেতারা নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে গঠিত হয়। এই জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ এশিয়ার এবং মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।