নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লিওনেল মেসি তো এবার সেরা তিনে ছিলেন না। মোনাকোয় পরশু উয়েফা বর্ষসেরা অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি আসরের দুবারের বর্ষসেরাকে। মোহাম্মাদ সালাহ শীর্ষ তিনে জায়গা পেলেও তার হাতে যে সেরার পুরষ্কার উঠছে না সেটা অনুমিতই ছিল। লড়াইটা ছিল তাই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লুকা মড্রিচের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত পর্তুগিজ তারকাকে হারিয়ে গত মৌসুমের উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা মিডফিল্ডার মড্রিচ।
শুধু বর্ষসেরার পুরষ্কার ই নয়। টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী বার্সেলোনা বিদায় নেয় শেষ আট থেকেই। এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ যে তাই রিয়াল মাদ্রিদ ও তাদের খেলোয়াড়রা তা অনুমিতই ছিলো। তবু এতোটা ইউরোপিয়ান জায়ন্ট খ্যাত দলটি যে এতন আধিপত্য দেখাবে তা হয়তো ক্লাবের কর্তাব্যক্তিরাও আশা করেননি। ২০১৭-১৮ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের ব্যক্তিগত পুরষ্কারের সবগুলোই উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের হাতে। বর্ষসেরা খোলোয়াড় ছাড়াও মৌসুমের সেরা গোলরক্ষক, সেরা ডিফেন্ডার, সেরা মিডফিল্ডার ও সেরা ফরোয়ার্ড; চার ক্যাটাগরির পুরষ্কার জিতেছেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা। সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার জেতেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। চ্যাম্পিয়নস লিগের গোটা মৌসুম জুড়েই অতিমানবীয় পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন নাভাস। সেরা ডিফেন্ডারের পুরষ্কার জেতেন রিয়ালের অধিনায়ক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। সেরা মিডফিল্ডারের পুরষ্কার বগলদাবা করেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মড্রিচ। পরে মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কারও জেতেন মড্রিচ।
লড়াই হয় সেরা ফরোয়ার্ডের পুরষ্কারেও। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল প্রথমবারের মতো এই পুরষ্কার জিতবেন লিভারপুলের মিশরিয়ান ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। তবে সেসব গুঞ্জন দূর করে শেষপর্যন্ত বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় চলতি মৌসুমে রিয়াল ছেড়ে যাওয়া পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নাম। এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা ফরোয়ার্ডের পুরষ্কার জিতলেন রোনালদো।
তবে আসল আলোটা ছিল মড্রিচের উপর। ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে রিয়ালকে টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান ছিল তার। এছাড়াও মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুমে জেতেন উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরেপা। আর রাশিয়া বিশ্বকাপে তার ঝলকের কথা তো ফুটবলপ্রেমিদের মনে এখনো গেথে আছে। দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল মড্রিচের। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি। সেই সূত্র ধরে এবার উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কারও উঠল ৩২ বছর বয়সীর হাতে।
মৌসুমের শুরুতে তার দলবদল নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তবে পুরস্কার জয়ের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বের সেরা ক্লাবে আছি। আমি এখানে থাকতে চাই। এখানে থাকতে পেরে আমি শুধু খুশি না, দারুণ খুশি। গত ছয় বছরের মতো ভালো কিছু করতে আমি কাজ চালিয়ে যেতে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।