Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মঘট-কারফিউতে অচল কাশ্মীর

পাঁচ পুলিশ সদস্যের পরিবারের অন্তত নয়জন অপহৃত

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:১৮ এএম, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিষয়ক বিশেষ প্রবিধান নিয়ে ঐতিহাসিক শুনানির আগে ধর্মঘট ও কারফিউতে অঞ্চলটিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। শুনানিকে ঘিরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাংবিধানিক প্রবিধান অনুযায়ী, অঞ্চলের বাইরের কোনো ভারতীয় কাশ্মীরে জমি কিনতে বা সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারে না। আদালতের শুনানিতে এ প্রবিধান রদ করা হলে বড় ধরনের বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতারা। তাদের ডাকে বৃহস্পতিবার কাশ্মীরজুড়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে প্রধান শহর শ্রীনগরের রাস্তায় রাস্তায় কাঁটাতার ও ইস্পাতের ব্যারিকেড বসিয়েছে সরকারি বাহিনী। শহরের বাসিন্দারা জানান, তাদের রাস্তায় বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার আশঙ্কায় রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও প্যারামিলিটারি মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার স্বজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অন্তত নয় জনকে অপহরণ করেছে। এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জঙ্গিরা পুলওয়ামা, অনন্তনাগ ও কুলগ্রাম জেলায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায় এবং পাঁচ পুলিশ সদস্যের পরিবারের অন্তত নয়জনকে ধরে নিয়ে যায়। গত বুধবার কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় জঙ্গি হামলায় চার পুলিশ নিহত হওয়ার পর দক্ষিণের জেলাগুলোতে জঙ্গি দমন অভিযান চলছে। ওই অভিযানে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ করে অভিযান বন্ধে এবং বন্দি বিনিময়ে বাধ্য করতে পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। বুধবার টিরাল থেকে আরেক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়। কাশ্মীরের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং তাদের মুক্ত করতে আলোচনা চলছে। জঙ্গিদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান নিয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ জঙ্গি খোঁজার নামে তাদের না পেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। শ্রীনগরের এক স্কুলশিক্ষক জানান, আসলে কারফিউ চলছে, কেউই বাইরে বের হতে পারছে না। বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলো জানিয়েছে, ১৯৫৪ সালের বিশেষ অধিকারের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার কাশ্মীরের ধর্মীয় পরিস্থিতি বদলাতে চায়। নয়াদিল্লিতে শুনানি সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে প্রতিনিয়ত অস্থিতিশীল কাশ্মীর পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এএফপি, এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অচল কাশ্মীর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ