মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনে উইঘুর মুসলমানদের গণ-আটকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অজুহাতে’ যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করেছে সংগঠনটি। জাতিসংঘ স¤প্রতি জানতে পেরেছে যে, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ‘পুনরায় শিক্ষা শিবিরে’ প্রায় ১০ লাখ মুসলমান উইঘুরকে আটকে রাখা হয়েছে। তারপর তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে উইঘুরদের মুক্তির এ দাবি জানায়। তবে বেইজিং জাতিসংঘের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অবশ্য কিছু ‘ধর্মীয় চরমপন্থিকে’ পুনরায় শিক্ষাদানের জন্য আটকের কথা স্বীকার করেছে। খবরে বলা হয়, চীনে আটক হাজার হাজার উইঘুর মুসলিমদের মুক্তি ও কাউন্টার-এক্সট্রিমিজম সেন্টার নামে আটক ক্যাম্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। সংস্থাটির জাতিগত বৈষম্য বিষয়ক কমিটি জানায়, এই ক্যাম্পে মানাবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। চীন দাবি করে আসছে ইসলামিক সশস্ত্র যোদ্ধা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকির মুখে আছে জিনজিয়াং প্রদেশ। এসব যোদ্ধা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও দাবি করে তারা। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থানীয় চীনা আদিবাসী হানদের সঙ্গে উইঘুরদের সংঘর্ষের আশঙ্কাও প্রকাশ করে চীন। সা¤প্রতিক অস্থিরতায় সেখানে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার গ্রুপ জানায়, চীনে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে কাউন্টার-এক্সট্রিমিজম সেন্টারগুলোতে আটকে রাখার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে তারা। জেনেভায় চীনের ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির দুই দিনের বিশেষ সভায় এই অভিযোগ তোলে সংস্থাটির জাতিগত বৈষম্য বিষয়ক কমিটি। কমিটির সদস্য গে ম্যাকডুগাল বলেন, এতো বিপুলসংখ্যক উইঘুর আটকের ঘটনা উদ্বেগজনক । জাতিসংঘের প্যানেল জানায়, তারা এত সংখ্যক উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম আটকের খবরে উদ্বিগ্ন। অনেককে কোনও অভিযোগ ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদের আটকে রাখা হচ্ছে। কিংবা কাউকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে আটক করা হচ্ছে। সংস্থাটি জানায়, বেইজিংয়ের কাছে এর কোনও সরকারি হিসেব না থাকাটা দুঃখজনক। জাতিসংঘ বলে, অবৈধভাবে আটকের চর্চা বন্ধ করে এভাবে আটক সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে এভাবে আটকদের প্রকৃত সংখ্যা বের করা ও এই ঘটনার তদন্ত করারও আহাবান জানায় সংস্থাটি। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে যে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীর ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।