Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাতিল হতে পারে আলোচনা

উ. কোরিয়া নিরস্ত্রীকরণে অগ্রগতি থামানোর জন্য চীনকে দুষলেন ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে পাঠানো এক চিঠিতে উত্তর কোরিয়া জানায়, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা আবারও ঝুঁকির মুখে পড়েছে এবং তা যেকোনো সময় বাতিল হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। অপর এক খবরে বলা হয়, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনা বাড়তে থাকার মুখে এ পরিস্থিতির জন্য চীনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় ব্যয় করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি এও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক মহড়া ফের শুরু করে তবে তা ‘যেকোনো সময়ের চেয়ে বড় হবে’। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া অব্যাহত রাখা হতে পারে বলে কয়েকদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য ট্রাম্প সরাসরি চীনকে দায়ী করেছেন, অন্তত তার টুইটগুলো থেকে এমন ধারণাই পাওয়া যায়। কিন্তু ওইসব টুইটেই তিনি আবার চীনা ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন। প্রসঙ্গত, ১২ জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক এক বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হয়। বৈঠকে উভয় নেতাই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরেণ কাজ করতে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরপরই ট্রাম্প জানান উত্তর কোরিয়া এখন আর পারমাণবিক হুমকি নয়। তবে এই বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার কোনও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও প্রতিশ্রুতি আদায় করতে না পারায় দেশের সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। সেই চুক্তির বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কোরীয় উপদ্বীপে ‘উষ্কানিমূলক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে চমক দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে চান তিনি। আগে এই সামরিক মহড়া সমর্থন করলেও ট্রাম্প এখন সেদিন একে ‘উষ্কানিকমূলক’ আখ্যা দেন। এই চিঠির ব্যাপারে প্রথম খবর প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তারা একে ‘গোপন যোগাযোগ’ বলে অভিহিত করে। তবে এই চিঠি কিভাবে পম্পেওয়ের কাছে পৌঁছালো সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেনি তারা। ধারণা করা হচ্ছে জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়ে থাকতে পারে। চিঠিতে বলা হয়েছে, চুক্তি সইয়ের পরেও যুক্তরাষ্ট্র এখনও উত্তর কোরিয়ার প্রত্যাশা পূরণে প্রস্তুত নয়। খবরে বলা হয়, এই চিঠির কারণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন কর্মকর্তাদের উত্তর কোরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে নিষেধ করেছেন। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওকে উত্তর কোরিয়া যেতে নিষেধ করেছি। কারণ, আমার মনে হয় কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যথাযথ অগ্রগতি হয়নি। ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি।



 

Show all comments
  • ইসমাইল ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১১:০৫ এএম says : 0
    আলোচনা করে কোন লাভ হবে না কারণ সনএাসৗ রাষ্ট্র আমেরিকা কে কেউ বিশ্বাস করে না কাজেই যুদ্ধই একমাত্র ঊপায় আমেরিকা কে ঊপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার. এই পযনত বিশ্বে কোন যুদ্ধেই আমেরিকা জয়লাভ করতে পারেনি.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ