Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলেপ্পোর ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সীমান্তে

প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের অব্যাহত সংঘর্ষে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় নগরী আলেপ্পো ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। গত বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, জীবন বাঁচাতে এসব মানুষ সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। চলমান সংঘর্ষের ফলে গত কয়েক দিনে সীমান্তবর্তী আজাজ শহর এবং নিকটবর্তী বাব আল-সালাম এবং সিজৌ শরণার্থী শিবিরে স্রোতের ন্যায় মানুষ আসছে। ওসিএইচএ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে অন্তত ৭৫ হাজার সিরীয় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে আজাজ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র আরিয়েন রুমারি বলেন, আমরা উত্তর সিরিয়ায় সংঘর্ষ বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। আর বেসামরিক মানুষ এবং মানবাধিকারের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে, তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সিরিয়ায় গত কয়েক দিনে সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাত সপ্তাহ ধরে চলা অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়েছে। এর আগে সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতারা সহিংসতার জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করে জানিয়েছিলেন, তারা জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে না। আলেপ্পো শহরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে ওই শান্তি আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দেশটির সরকারি বাহিনীও চুক্তি ভঙ্গের জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে। এর আগে রেডক্রসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সিরিয়ার আলেপ্পোয় তীব্র লড়াই ছড়িয়ে পড়ার কারণে ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হচ্ছে বলে রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি) সতর্ক করেছে। তীব্র লড়াইয়ের মুখে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা তুর্কি সীমান্তে গিয়ে জড়ো হচ্ছে।  সিরিয়ার রেডক্রস প্রধান ম্যারিয়ান গাসের বলেন, সেখানকার তাপমাত্রা অত্যন্ত কম, এ অবস্থায় অপর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ, পানি ও আশ্রয়হীন অবস্থায় বাস্তুচ্যুত লোকজন অনিরাপদ পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। মিতস সঁ ফঁতিয়া (এমএসএফ) সতর্ক করে বলেছে, তুর্কি সীমান্তের কাছে আজাজ-এর লড়াইয়ে ওই এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এমএসএফের মুসকিলদা জানকাদা বলেন, সেখানে শিশু ও বয়স্করাসহ বাস্তুচ্যুতদের তীব্র শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বসবাস করতে হতে পারে। আল-জাজিরা।    



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আলেপ্পোর ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সীমান্তে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ