এ বিপর্যয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাঁধগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত মাসে লাওসে একটি পানি, বিদ্যুৎ ও বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার লোক উদ্বাস্তু হয়েছিলেন। এতে প্রায় ২৭ জন নিহত হন।
বুধবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় সওয়ার খাঁড়ির ওই বাঁধটি ভেঙে যায়; এতে নেমে আসা পানির প্রবল ধারায় সামনের গ্রামগুলো ভেসে যায় এবং নিকটবর্তী সওয়ার ও ইয়েদাশি শহর ডুবে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই দিনই দেশটির দমকল বাহিনী, সেনারা ও কর্মকর্তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে দেন।
বাঁধের কাছে বন্যার পানি কমেছে বলে গ্লোবাল নিউলাইট অব মিয়ানমার সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন দেশটির সেচ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপমহাপরিচালক জাও লউয়িন তুন।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পানি বের হওয়ার পথটির কারণেই বাঁধটি ভেঙে পড়েছে। এমনিতে বাঁধটির অবস্থা ভালোই ছিল।
বাঁধ ভেঙে ৮৫ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে এবং এতে ৬৩ হাজারেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়কের একটি অংশও ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আগে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে অতিরিক্ত পানি বের হওয়া শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ বাঁধটি ঠিক আছে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেছিল।
বাঁধটির পানি ধারণক্ষমতা ২,১৬,৩৫০ একর-ফুট বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বন্যার কারণে ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও রাজধানী নেপিদোকে সংযোগকারী মহাসড়কের একটি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই পথে যান চলাচল বন্ধ আছে।