বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলবাসী সকলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল নিয়মকানুন মেনে ন্যায়সঙ্গতভাবে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবো।
দিল্লি ভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো দুদিন ব্যাপী ‘ভারতীয় মহাসাগর সম্মেলন-২০১৮’-এর শেষ দিনে অংশগ্রহণকারী সকল দেশের সদস্যদের উদ্দেশ্য পরিকল্পনামন্ত্রী এ আহবান বলেন। গত ২৭ ও ২৮ আগস্ট ভিয়েতনামের হ্যানয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও সিঙ্গাপুর আয়োজক সংগঠনের পার্টনার। পূর্বের দুটি সম্মেলন হয়েছে সিঙ্গাপুর ও শ্রীলংকায়। বাংলাদেশের পক্ষে এ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ষাটের অধিক দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশিষ্টজনেরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রী পর্যায়ের সেশনে পরিকল্পনামন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। এই সেশনে শ্রীলংকার যুব মন্ত্রী সাগালা বাতানায়েকে, মরিশাসাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিতানাহ লুচিমিনারাইডো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল-জিউওদি বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, যখন বিশ্ব একটি বিশ্বায়ন বিরুদ্ধ তথাকথিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’-এর হুমকীর সম্মুখীন, এমন একটি উপযুক্ত সময়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে সুন্দর এ আয়োজন। তিনি এ জন্য ভিয়েতনাম সরকারসহ ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে আমেরিকার ১৯২৯ সালের স্মুথ হলির রক্ষণশীল ট্যারিফ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে আহম মুস্তফা কামাল বলেন, যেখানে ২০ হাজারেরও বেশী দ্রব্যের উপর আমেরিকার কৃষি ও ব্যবসাকে রক্ষার জন্য শতকরা ৫০ ভাগের উপরে শুল্ক আরোপ করা হয়। পরিনামে এটি তখন বিশ্ব বাণিজ্যকে ৬৬ শতাংশ সংকুচিত করে সারা বিশ্বে মহামন্দা সৃষ্টি করে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন- বিশ্ব অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তথাকথিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ প্রতিহত করবে। যাতে করে এটি বেশীদিন স্থায়ী হতে না পারে। পাশাপাশি তিনি এই অঞ্চলের সকল দেশকে বাণিজ্য যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান করে দক্ষিণ-দক্ষিণ বাণিজ্য পরিধি বৃদ্ধির পরামর্শ প্রদান করেন, যাতে করে বিশ্বায়নের অস্তিত্ব টিকে থাকবে। আমাদেরকে অবশ্যই একসাথে চলার নীতি অনুসরণ করতে হবে। কেননা যদি আপনি দ্রুত চলেন তবে আপনাকে একাই চলতে হবে, আর যদি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে চলতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে একসাথে চলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, যখন আমরা একতা ও পারস্পরিক সহযোগীতার কথা বলছি ঠিক তখন বাংলাদেশ পাশ্ববর্তী দেশ মায়ানমার সৃষ্ট রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু নামক বড় একটি সমস্যার মধ্যে। তিনি সকল অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিদের আন্তরিকভাবে অনুরোধ করেন, যে তারা অবশ্যই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। যাতে করে রোহিঙ্গারা সম্মানের সাথে তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে দ্রুত ফিরে যেতে পারে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি ও সামাজিকসহ বহুবিদভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। কিন্তু এই সম্পদ তখনই প্রকৃত সম্পদে পরিনত হবে যখন সম্পদের যথার্থ ন্যাসঙ্গত ও দক্ষতার সাথে ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে, যদিও এটি একটি কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি উল্লেখ করেন- ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ মহাসাগর ও তার প্রমত্তা ঢেউ সৃষ্টি করেছেন, পাশাপাশি তিনি মানুষের কল্যাণে তাকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন সেই মহাসমুদ্র ও ঢেউকে জয় করার জন্য’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।