মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সউদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সউদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সুসম্পর্ক প্রায় ৮ যুগ যাবৎ। সেই সম্পর্ক চাঙ্গা রাখতে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির নীতিমালা অক্ষুণœ রেখে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষার ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা। আলোচনায় সিরিয়া ও ইয়েমেন এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের নাক গলানোর বিষয়ে গুরুত্ব পায়। এর আগে বাদশাহ সালমান রিয়াদে এরজা রাজপ্রাসাদের একটি সুসজ্জিত কক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে অভ্যর্থনা জানান। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সউদি সফর করায় তিনি বেশ আনন্দিত। অন্যদিকে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে নিয়ে সম্মেলন আয়োজন করায় সউদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান ওবামা।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, উপসাগরীয় দেশগুলো মনে করে, ইরান এ এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র জিসিসি দেশগুলো ও ইরানকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে। ওবামা প্রশাসন চায়, বিবদমান দুই পক্ষ যেন সেখানে উত্তেজনার বারুদে আর আগুন না দেয়। খবরে বলা হয়, বিমান থেকে নেমে আসেন হাস্যোজ্জ্বল ওবামা। পরে তিনি সউদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। রিয়াদের এরজা প্রাসাদে দুই নেতার রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দুই ঘণ্টার ওই আলোচনায় সিরিয়া ও ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের নাক গলানোর বিষয়গুলো ওঠে আসে বলে স্থানীয় সউদি গেজেট ও আল আরাবিয়া পত্রিকাগুলো জানিয়েছে। এসময় সউদি জনতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবামা বলেন, আমি আপনাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি। আপনাদের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। রিয়াদে ২৪ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় অবস্থান করার কথা ওবামার। এখান থেকে তিনি যুক্তরাজ্য ও জার্মানী সফরে যাবেন। এর আগে তিনি জিসিসি সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সম্মেলনে সউদি আরব ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে সিরিয়া ও ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধ, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে লড়াই এবং এ অঞ্চলে ইরানের আগ্রাসী তৎপরতার ইস্যুগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।
অপর এক খবরে বলা হয়, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে ওবামার। সউদি আরবে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্ভবত ওবামার শেষ বৈঠকও সফর হতে পারে। গত বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া একটার দিকে রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে ওবামাকে বহনকারী এয়ার ফোর্সের বিমানটি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাস্টোন কার্টার রিয়াদে উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ ও মার্কিন অস্ত্রের বড় ক্রেতা সউদি আরবের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না ওয়াশিংটনের। গতবছর ইরানের সঙ্গে ৬ জাতির পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ফলে ৭০ বছরের পুরনো বন্ধুটিকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না রিয়াদ সরকার। ইয়েমেন লড়াইকে কেন্দ্র করে ওই সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে। দেশটিতে ইরানের মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামিলা চালিয়ে যাচ্ছে সউদি জোট। সউদি আরব তাদের অনুগত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি আদায়েরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইয়েমেনের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে গুচ্ছবোমা ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। এ নিয়ে তারা সউদি বাদশাহর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ওবামা প্রশাসনের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে। তবে গত বুধবার বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠকে ওবামা এ ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করছেন কিনা তা জানা যায়নি। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।