বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসন বলেছেন,বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিছক কোন রাষ্ট্র নায়কের হহত্যাকান্ড নয়। এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে একটি জাতিকে, একটি রাজনীতিকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে হত্যার প্রচেষ্টা করা হয়। খুনিরা জাতির পিতাকে হত্যার পর এদেশকে পাকিস্তানকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।
গতকাল বুধবার গণপূর্ত অধিদপ্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসন এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাঙালী চেতনায় বিশ্বাসী কেউ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে না। এটা বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। এ জন্য তিনি অতি সাধারণ নিরাপত্তায় চলাচল করতেন। বাঙালী জাতির আন্দোল-সংগ্রামের ঠিকানা তাঁর প্রিয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অতি সাধারণ নিরাপত্তায় বসবাস করতেন। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত তারা মুলত এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল না। সেনাবাহিনী ও বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে অবস্থান করা স্বাধীনতা বিরোধীরা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন এ জাতির মুক্তির জন্য। রাজনীতির ঘটনা প্রবাহের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণই ছিল তার রাজনৈকি দূরদর্শীতা। অনেক বর্ষিয়ান নেতাও ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছয়দফার ভিত্তিতে এ নির্বাচন অংশ নিয়ে এদেশের স্বাধীনতার দুয়ার খুলে দেন। তাই এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।