মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বামপন্থীদের যোগসাজশ রয়েছে- এ অভিযোগে ভারতের পুলিশ মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যে নামকরা বামপন্থী লেখক, বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও রাঁচি থেকে শুরু করে আরও অনেক স্থানে ওই পুলিশি অভিযান চলে। খবর বিবিসির।
মাওবাদীদের সমব্যথী বলে পরিচিত কবি ভারভারা রাওকে হায়দরাবাদ থেকে এবং শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টিজ বা পিইউসিএলের প্রধান সুধা ভরদ্বাজকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকারকর্মী গৌতম নওলাখাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অরুণ ফেরেরা ও ভেনন গঞ্জালভেজকে মহারাষ্ট্রের থানে ও মুম্বাই থেকে আটক করা হয়েছে।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওতে প্রায় তিন লাখ দলিত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন মারাঠা পেশোয়াদের বিরুদ্ধে তাদের বিজয়ের ২০০ বছর উদযাপন করতে।। দলিতরা ভীমা কোরেগাঁওয়ের সেই যুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষে লড়াই করেছিল।
দক্ষিণপন্থী কিছু সংগঠন ওই উদযাপনের বিরোধিতা করায় অশান্তি শুরু হয়, যা পরে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পরবর্তী তিন দিন ধরে নানা শহরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে ও অন্তত একজন নিহত হন।
পুনে শহরের পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করছিল এবং সেই সূত্রেই মঙ্গলবার দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে সেখানকার পুলিশ বলছে।
তারা বলছে, ওই ঘটনার তদন্তের সূত্রে এর আগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে যেসব ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছিল, তাদের বাড়িতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হওয়ার পরে থেকেই মানবাধিকারকর্মীরা ওইসব ব্যক্তির বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন।
দেশজুড়ে ওই তল্লাশি অভিযান আর পাইকারি গ্রেফতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতের নামকরা মানবাধিকারকর্মী ও লেখক-বুদ্ধিজীবীরা।
লেখিকা অরুন্ধতী রায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জনসমক্ষে যারা (কথিত গোরক্ষক) মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করছে তাদের না ধরে উকিল, কবি, লেখক আর মানবাধিকারকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে।
হিন্দু আধিপত্যের বিরুদ্ধে যারা মুখ খুলবেন, তাদের অপরাধী সাজানো হবে। এটি কি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হল?
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ভারতে আইনজীবী, সাংবাদিক, অধিকারকর্মী এবং মানবাধিকারের রক্ষকদের বিরুদ্ধে এক বিরাট দমন অভিযান শুরু হয়েছে। এসব গ্রেফতারের ঘটনা উদ্বেগজনক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকার এ কাজ করছে কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে।
খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ টুইটারে এই গ্রেফতার অভিযানের নিন্দা করে বলেছেন, এটি খুবই উদ্বেগজনক। দেশের স্বাধীন কণ্ঠগুলো রুদ্ধ করার এই অভিযান বন্ধ করতে সুপ্রিমকোর্টের এখনই হস্তক্ষেপ করা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।