বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিয়ের টাকা সংগ্রহ করতেই ছাত্রকে অপহরনের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক মইনুল ইসলাম। ছাত্র সামিরকে কৌশলে অপহরণ করে তার বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মইনুল। মুক্তিপণ আদায়ের আগেই মইনুলকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় সামিরকে। র্যাব ও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষক মইনুল। এ ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি আবু মোঃ ফজলুল করিম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মইনুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ গত শনিবার আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অপহরনের বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাবাদে মইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিয়ে করার আগ্রহ জন্মে তার। তিনি পাত্রীও দেখেন। কিন্তু বিয়ে করার মতো যথেষ্ট টাকা তার কাছে নেই। সেই টাকা জোগাড় করতে শিশু সামিরকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেয় তিনি। ঈদের পরদিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মধুবাগ এলাকা থেকে আট বছরের শিশু সামিরকে অপহরণ করে মইনুল। বিষয়টি সামিরের বাবা র্যাবকে জানালে র্যাব প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত শুক্রবার বিকেলে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে মইনুলকে। এ সময় উদ্ধার করা হয় সামিরকেও।
মইনুল র্যাবকে জানায়, সামিরের মা-বাবা আগে মোহাম্মদপুরে থাকতেন। ওই সময় মইনুল মোহাম্মদপুরের নূরানী তালীমূল কোরআন মাদরাসায় হাফেজি পড়াশোনা করত। লজিং থাকত সামিরদের বাড়িতে। সামিরও একটি মাদরাসায় পড়শোনা করে। এক মাস আগে অল্প বেতনে নোয়াখালী জেলার সোনাপুর সাঈদাতুল আবরার মাদরাসায় নূরানী বিভাগে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পায় মইনুল। পরে চলে যায় নোয়াখালী। আর সামিরদের পরিবার মোহাম্মদপুর থেকে মধুবাগের ৩৩১/সি নম্বর বাড়িতে ভাড়া বাসায় চলে আসে। সামিরের পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল মইনুলের। বেতনের অল্প টাকা দিয়ে বিয়ের খরচ জোগাড় করা যাবে না চিন্তা করে সে সামিরকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদের পর দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সামিরদের বাসার সামনে চলে আসে মইনুল। এ সময় বাসার সামনে খেলছিল সামির। সেখান থেকে তাকে বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মইনুল মোবাইল ফোনে এসএমএস এবং চিঠির মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সামিরের বাবার কাছে।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মইনুল জানিয়েছে সামিরকে অপহরণ করে উত্তরায় তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে রাখে। পরের দিন মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার জন্য সে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নিয়ে যায় সামিরকে। মইনুল র্যাবকে জানায়, তার বন্ধুর কোনো দোষ নেই। সে তার বন্ধুর বাসায় গিয়ে সামিরকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে রাখে। শিশুটির সঙ্গে তার বন্ধু ও বন্ধুর স্ত্রীকে কথা বলারও সুযোগ দেয়নি। র্যাব ৩-এর এএসপি রবিউল ইসলাম বলেন, শিশুটির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। শিশুটি জানিয়েছে, মইনুল তার শিক্ষক। অপহরণের সময় মইনুল সামিরকে বলে তার মা তাকে বলেছে বেড়াতে নিয়ে যেতে। বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার পর তার মা গিয়ে তাকে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এ কারণে সে মইনুলের সঙ্গে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।