মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। এবার নতুন একটি তথ্য সেই বিতর্ককেও যেন ছাপিয়ে গেল। নিজের গৃহকর্মীর সঙ্গে নাকি বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এমনকি সেই সম্পর্কের জেরে তাদের একটি সন্তানও হয়েছিল! এমনই বিতর্কে এখন সরগরম মার্কিন মুল্লুক। এমনিতেই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক এবং খবরের কোনো অভাব নেই। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল এবারের বিতর্ক। সৌজন্যে ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ারের সাবেক এক পাহারাদার।
ডিনো সাজুডিন নামে ওই পাহারাদারের দাবি, ট্রাম্প টাওয়ারে চাকরি করার সময় ট্রাম্পের সাবেক এক গৃহকর্মীর সমালোচনা করতে তাকে নিষেধ করা হয়েছিল, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সেই গৃহকর্মীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এবং তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। ট্রাম্প অবশ্য তখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হননি। কিন্তু এতদিন কেন চুপ ছিলেন ওই পাহারাদার? ডিনোর আইনজীবী মার্ক হেল্ড জানান, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর 'আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশন' (এএমআই) তার মক্কেলের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। চুক্তিতে বলা হয়, 'খবরটির স্বত্ত¡ আমরা কিনে নিচ্ছি। এখন থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারবেন না ডিনো। এর জন্য ৩০ হাজার ডলার দেয়া হবে তাকে। চুক্তি ভাঙলে ডিনোকে ১০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে।' এ চুক্তির কারণেই ২০১৫ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি ডিনো। আইনজীবীর দাবি, মার্কিন ট্যাবলেয়ড 'দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারার'-এর মালিকপক্ষ এএমআই স¤প্রতি ওই চুক্তি থেকে ডিনোকে মুক্তি দিয়েছে। তাই এখন আর এ নিয়ে কথা বলতে কোনো অসুবিধা নেই তার মক্কেলের।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এএমআইয়ের সঙ্গে ডিনোর করা চুক্তিপত্রের একটি কপি তাদের হাতে রয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলেই তারা বিষয়টি জানতে পারে। ট্রাম্প টাওয়ারের পাহারাদার ডিনো সাজুডিন নিজে তাদের 'ট্রাম্পের অবৈধ সন্তানে'র খবর দিয়েছিলেন। তবে সে সময় 'আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশন' জানিয়েছিল, খবরটি সঠিক নয়। সে সময় হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারাও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সেই অর্থে কোনো সূত্র থেকেই 'অবৈধ সন্তান' তত্তে¡র সত্যতা যাচাই করতে পারেনি সিএনএন। কিন্তু চার মাসের মধ্যেই চুক্তির সত্যতা সামনে চলে আসায় স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্টের অবৈধ সন্তানের তত্ত্ব ঘিরে! যুক্তি একটাই, সন্তান যদি না-ই থাকে, তবে গোপনে চুক্তি কেন?
অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) দাবি, ট্রাম্পের তৎকালীন অ্যাটর্নি মাইকেল কোহেন এ বিষয়ে অবগত ছিলেন। খবরটি নিয়ে পত্রিকার সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে কোহেন জানতেন না যে ট্রাম্প টাওয়ারের পাহারাদার ডিনো সাজুডিনের সঙ্গে পত্রিকার মালিক সংস্থার কোনো চুক্তি হয়েছিল। কোহেন নিজেও এখনও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। -সিএনএন, এপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।