পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারের হিসেবে জাপান অন্যতম শীর্ষে থাকলেও স¤প্রতি এ নিয়ে কিছুটা বিপদে পড়েছে তারা। গৃহস্থালীর পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য দিনদিন জমা হচ্ছে জাপানের কারখানাগুলোতে। আর জাপানের প্লাস্টিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্লাস্টিক সমস্যার সমাধানে জাপানের মনোভাবের কারণেই এই সমস্যার তৈরী হচ্ছে।
বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়, জাপান তার মধ্যে একটি। মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের হিসেব করলে বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জাপানের অবস্থান। প্লাস্টিক বর্জ্যরে বিষয়ে জাপানের একজন বিশেষজ্ঞ ইউ জন সু বলেন, পুনর্ব্যবহারের হিসেবে জাপান অনেক উন্নত হলেও, প্লাস্টিকের ম‚ল সমস্যার সমাধানে ক্ষেত্রে অনেকটা উদাসীন তারা।
মি. সু বলেন, জাপান প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়। জাপান বিশ্বাস করে পুনর্ব্যবহার করেই তারা প্লাস্টিক সমস্যার সমাধান করছে। আর এই মনোভাবের ফলে জাপানের প্লাস্টিক সমস্যার আসল ক্ষতিকর দিকগুলো অনেকটাই চাপা পড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন মি. সু।
জাপানের রাজধানী টোকিওর অধিকাংশ বাসিন্দার মতই কিয়োকো কাওয়ামুরা তার রান্নাঘরের বর্জ্য আলাদা করে রাখেন। রিসাইক্লেবল বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যগুলো একসাথে, আর যেগুলো পুনর্ব্যবহারের অযোগ্য সেগুলো একত্রিত করে রাখছিলেন মিজ. কাওয়ামুরা। আর এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যরে প্রায় পুরোটাই প্লাস্টিক।
মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের হিসেবে জাপান বিশ্বে দ্বিতীয়। মিজ. কাওয়ামুরা বলেন, পরিবেশবান্ধব চিন্তা করার এই অভ্যাসটা ছোটকাল থেকে স্কুলেই শেখানো হয়েছে তাকে। কাওয়ামুরা বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাই আমাকে শিখিয়েছে পৃথিবীর জন্য ভাল কিছু করার চেষ্টা করতে। বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় যেখান থেকে, সেই জায়গাটা গুছিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব, যেন বর্জ্য সংগ্রহ করতে যারা আসে তারা যেন পুনর্ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট বর্জ্য সহজে নিয়ে যেতে পারে।
কেন তৈরী হচ্ছে জটিলতা?
জাপানে গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য ও শিল্প কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয় আলাদা কারখানায়। শিল্প কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য সাধারণত উচ্চমানের হয়ে থাকে এবং তা দিয়ে যেসব পণ্য তৈরী হয় সেগুলোর চাহিদাও থাকে বাজারে। কিন্তু গৃহস্থালীর প্লাস্টিক বর্জ্য সাধারণত নিম্নমানের হয়ে থাকে এবং সেগুলো দিয়ে তৈরী হওয়া পণ্যেরও তেমন একটা চাহিদা থাকে না।
জাপান এতদিন গৃহস্থালীর প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করে তৈরী করা পণ্য চীনে রপ্তানি করতো। কিন্তু এবছরের শুরু থেকে চীন এই ধরণের পণ্য আমাদানি নিষিদ্ধ করেছে। কাজেই জাপানের বিভিন্ন কারখানায় পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পাহাড় তৈরী হচ্ছে। জমতে থাকা এই প্লাস্টিকের কোনো গতি না হলে, এগুলোরও হয়তো শেষ ঠিকানা হবে সমুদ্রেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।