পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। বাস ও লঞ্চে স্বাভাবিক হলেও গতকাল রোববার ঢাকামুখী ট্রেনে ছিল অস্বাভাবিক ভিড়। ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা রাজধানীতে ফিরছেন। অনেকে ভিড় উপেক্ষা করতে ঈদের একদিন পরেই রওনা করেছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষ ফিরেছেন গত শনিবার থেকে।
গতকাল রোববার অফিস শুরু হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। কারণ অনেকে সাধারণ ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছেন। তারা যোগ দিবেন অতিরিক্ত দিনের ছুটি শেষে। যানজট আর জনজটের নগরীর সেই চিরচেনা রূপ পেতে সময় লাগতে পারে আরো এক সপ্তাহ। ঈদের একদিন আগে থেকেই ফাঁকা হয়ে গেছে ঢাকা। গতকালও তার ব্যতিক্রম ছিল না। রাস্তায় যানবাহন খুব একটা ছিল না। মার্কেট, বিপনীবিতানসহ পাড়া মহল্লার অধিকাংশ দোকানই ছিল বন্ধ। অফিসপাড়ার প্রথম দিন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে কেটেছে গতকাল। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হয়নি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জানান, প্রতিদিন চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ ট্রেন ছাড়াও ৬৮টি ট্রেন ঢাকায় আসছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রতিটি ট্রেনেই উপচে পরা ভিড়। চট্টগ্রাম থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, গ্রাম থেকে আসতে ইচ্ছা করে না। ছুটি শেষ, এজন্য আসতে হলো। ট্রেনে ভিড়, গরমে কষ্ট হয়েছে। সিলেট থেকে আসা বেলাল জানান, পরিবার নিয়ে ঈদে করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রতি বছর বাসে যাতায়াত করতেন। এবার করেছেন ট্রেনে। এবার ট্রেনে আসা-যাওয়া করে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভিড়ের কারণে ভোগান্তি ছিল বেশি। ট্রেনগুলো দেরি করে চলায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা আগে বাড়ি ছেড়ে এসেছেন তারা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে রাজধানীতে ফিরতে পেরেছেন। বরিশালের যাত্রী শাহাদত বলেন, ঈদের আগে সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সে তুলনায় ফিরতে পেরেছেন ভোগান্তি ছাড়াই। অনেকটা আরামেই ঢাকা ফিরতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার বাইরে থেকে প্রতিটি বাস ভর্তি যাত্রী আসছে। পথিমধ্যে খুব একটা যানজট নেই বলে জানান ফেনী থেকে আসা হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এবার ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় ভয়াবহ যানজটে পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে, গাবতলী ও মহাখালী টার্মিনালেও বাসভর্তি যাত্রী আসছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। তবে অনেকেই বলেছেন, এবারও ঈদে ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়তে হয়েছে। সারোয়ার নামে এক যাত্রী জানান, তিনি ঈদের আগে গাবতলী টার্মিনাল থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে ১৪ ঘন্টায় গন্তব্যে পৌঁছেছেন। তিনি অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টেলিভিশনের খবরগুলোতে যানজটমুক্ত রাস্তা দেখানো হয়েছে। ঈদে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ ঘরে ফিরছে বলে একাধিক টেলিভিশনে খবর প্রচার করা হয়েছে। যা মোটেও সত্য ছিল না। ঈদের দুদিন আগে থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটে হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।