উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। দেশের চর, উপকূলের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট উঁচু বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতার কথা জানায় আবহাওয়া বিভাগ। সেই সাথে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ স্থানে ভ্যাপসা গরম পড়ছে। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হলেও তা ছিল ছিঁটেফোঁটা, হালকা ও সাময়িক। বিক্ষিপ্তভাবে সর্বোচ্চ বর্ষণ হয় শ্রীমঙ্গলে ৮৭ মিলিমিটার। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৫.৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৩.৭ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৬ ডিগ্রি সে.। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয়। আর উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। দেশের পূর্বাঞ্চলে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া সতর্কবার্তা
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপ একই এলাকায় অবস্থান করছে। গতকাল আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের এবং গভীর সমুদ্রে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।