বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শতাধিক স্পটের খুচরা মাদক বিক্রেতারা কোটি টাকার মাদক ব্যবসা করেছে। দৌলতপুরের মাদক সেবীসহ জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক সেবীরা বেপরোয়া গতিতে মোটরযান চালিয়ে তাদের পরিচিত মাদক স্পটে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন ও গাঁজা সেবন করে একই গতিতে ফিরে যাচ্ছে। আর এচিত্র নিত্য নৈমত্তিক হলেও ঈদের আগের দিন থেকে অদ্যাবদি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুনেরও বেশী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর, বিলগাথুয়া, জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, চল্লিশাপাড়া, চিলমারী, চরচিলমারী, বাংলাবাজার ও উদয়নগর সীমান্তসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইনের বড় বড় চালান পাচার হয়ে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে বড় চালানগুলি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার হয়। আর ছোট ছোট মাদকের চালান মাদক ব্যবসায়ীদের হাত বদল হয়ে দৌলতপুরের শতাধিক খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যায়। আর এসব খুচরা মাদক ব্যবসায়ীরা উচ্চ মূল্যে মাদক সেবীদের কাছে তা বিক্রয় করে থাকে। তবে ঈদ বা বিভিন্ন মৌসুম আসলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কদরও বেড়ে যায়। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন বা তিনগুন বা তার চেয়েও বেশী মূল্যে মাদক সেবীদের কাছে এসব মাদক বিক্রয় করে থাকে তারা।
দৌলতপুরের উল্লেখযোগ্য মাদক স্পটগুলির মধ্যে রয়েছে খলিশাকুন্ডি বাজার, শ্যামপুর বাজার, বোয়ালিয়া বাজার, গোয়ালগ্রাম বাজার, শেহালা-নাটনাপাড়া বাজার, আদাবাড়িয়া বাজার, প্রাগপুর বাজার, বিলগাথুয়া, মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া, মহিষকুন্ডি বাজার, জামালপুর, পাকুড়িয়া, ভাগজোত বাজার, মুন্সিগঞ্জ বাজার, মুন্সিগঞ্জ ভাঙ্গাপাড়া, ক্রোফোর্ডনগর, ডাংমড়কা বাজার, মথুরাপুর বাজার, হোসেনাবাদ বাজার, ফিলিপনগর, বৈরাগীরচর, তারাগুনিয়া বাজার, স্বরূপপুর ব্র্যাক অফিসপাড়া, সোনাইকুন্ডি বাজার, কল্যানপুর বাজার, কল্যানপুর বটতলা, কল্যানপুর গাইনপাড়া, সাদীপুর, সাহাপুর, জয়রামপুর, মাজিদিয়াড়, চরদিয়াড় ও বালিরদিয়াড় বাজার অন্যতম। আর এসব মাদক ব্যবসা স্পট এলাকায় গড়ে ওঠা খুচরা মাদক ব্যবসায়ীরা শতাধিক স্পটে মাদক বিক্রয় করে থাকে। সময় ও সুযোগ বুঝে মাদক সেবীদের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে স্পট পরিবর্তন করে তারা মাদক বিক্রয় করে থাকে।
উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ ও ক্রোফোর্ডনগর এলাকায় গিয়ে খুচরা মাদক ব্যবসায়ী সজিব, সাদেক, নিহাজ, নুরতাজ, জাহাঙ্গীর, আলামিন ও বিপদ আলীর সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, তারা প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ২০ পিস ফেনসিডিল বিক্রয় করে থাকে। তবে ঈদ বা বিভিন্ন উৎসব এলে এর দ্বিগুন, তিনগুন আবার কোন কোন ক্ষেত্রে চারগুনও বিক্রয় হয়। আবার অনেক সময় ছোট খাট নেতারা আসলে তাদের ফ্রিও দেওয়া লাগে। ঈদ উপলক্ষে তারা প্রতি পিস ফেনসিডিল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রয় করছে। এতে তাদের বছরের অন্যান্য সময় গড়ে প্রতিদিন ৪ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা এবং উৎসব মৌসুমে তা অনেকগুন বেড়ে যায়। তারা বলেন এ ব্যবসায় লাভ যেমন আছে ঝক্কি ঝামেলও বেশী। যদিও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করি তারপরও মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উটকো ঝামেলায় পড়তে হয়। তখন খরচ একটু বেশী।
মাদক ব্যবসা ও অভিযানের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান বলেন, মাদকের বিরদ্ধে আমাদের অভিযান জোরালো আছে। মাদক ব্যবসা জোরালো হওয়ার সুযোগ নেই। ঈদের আগে মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী বা বিক্রেতা আটক হয়েছে এবং মাদক উদ্ধারও হয়েছে।
দৌলতপুরের সচেতন মহলের অভিমত, মাদক বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি উল্লেখিত মাদক স্পট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মোটরযানে চলমান পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তিকে জিঞ্জাসাবাদ ও তৎক্ষনাত তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দৌলতপুরের খুচরা মাদক ব্যবসা অনেকাংশে কমে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।