পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের স্বর্ণ খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এজন্য ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চেয়েছেন। এই সংস্কার কার্যকর করতে পুরো ব্যবস্থা সম্পন্ন করে (নীতিমালা, প্রজ্ঞাপন, এস আর ও জারি) একটি নির্দিষ্ট সময়ে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করা। সেদিন থেকেই সমগ্র নতুন রিজাইমটি প্রতিষ্ঠা পাবে। এ জন্য তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি অন্যান্যদের মতামত বিবেচনা করে এবং প্রচলিত একটি ব্যবস্থাকে (ব্যবস্থা নয় অবহেলা) ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মুহিত। এজন্য বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠানেও এ চিঠি পাঠান অর্থমন্ত্রী।
অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্বর্ণনীতি ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। তবে স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধণের দাবি জানায় জুয়েলার্স সমিতি। যদিও তাদের আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে হারিয়ে যায়। অর্থাৎ কোন পদক্ষেপ আর গ্রহণ করা হয়নি। আর তাই বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির কার্যকরি পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে যা নোট আকারে অর্থমন্ত্রী লিখেন। যদিও তিনি এটি পাঠিয়েছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে।
গত ৮ আগষ্ট স্বাক্ষরিত চিঠিতে অর্থমন্ত্রী বলেছেনÑ ভারতের এক তৃতীয়াংশ অলংকার উৎপাদন বাঙ্গালি স্বর্ণকাররা করেন। এদের অনেকেই অবৈধভাবে ভারতে চলেও গেছেন। একই সঙ্গে দেশে কি পরিমান সোনা মজুদ আছে তার কোন তথ্য নেই এবং বর্তমানে যে আইন-কানুন আছে তা মানলে কোন দিনই সেই তথ্য পাওয়া যাবে না। সারমর্মে বলা হয়, বাংলাদেশে স্বর্ণের হিসাব হয় ভরিতে, ৮০ ভরিতে এক কেজি সোনা হয়।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ৭ মার্চ বর্তমান সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সোনার ভরিতে ৭০০ টাকা ভ্যাট আদায়ের পরিবর্তে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। তবে তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত একটি পয়াসও এজন্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ সোনা আমদানি তখন থেকে বন্ধ এবং চোরাবাজার খুব রমরমা। আমাদের দেশে প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৪০ হাজার টাকা অথচ বিশ্ববাজারে সেই দাম ২৬ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে বোঝা যায় দেশের স্বর্ণের বাজারে ভৌতিক কান্ড চলছে। এই অস্বাভাবিক অবস্থার অবসান করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এ জন্য তিনি ব্যাপক ও ড্রাসটিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে পদক্ষেপটি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী নোটে তার নিজের পরামর্শ হিসেবে বলেছেনÑ আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে সোনার দামটি যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা। এ জন্য সোনা যাদের আছে তাদের সম্পদ হঠাৎ ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে। সে সুযোগ স্বর্ণকারদের দেওয়া হবে। অবশ্য এ জন্য উইন্ডফল গেইন এর উপর একটি লেভি ধার্য্য করে কিছু অর্থ সরকারের হাতে নিয়ে নেওয়া হবে।
দ্বিতীয়ত দেশের বন্ধ থাকা সোনা বাণিজ্যের অবসান করে সোনা আমদানি ও সোনার অলংকার রফতানির ব্যবস্থা করা। সেক্ষেত্রে আমদানি ও রফতানি শুল্ক যৌক্তিকিকরণ করা। এছাড়া এ সব কাজ সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি সচিব পর্যায়ের কমিটি নিযুক্ত করতে হবে। তারা এসব ব্যবস্থা নির্ধারণ করে মন্ত্রিসভার বিচেনার জন্য প্রস্তাব করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।