Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

ঈদের পরেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। বাসের চেয়ে ট্রেনে ভিড় বেশি। কমলাপুর স্টেশন থেকে গতকাল শুক্রবার ছেড়ে যাওয়া সবগুলো ট্রেনেই দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। ঢাকার বাইরে থেকে আসা ট্রেনগুলোতে অবশ্য তেমন ভিড় ছিল না।
দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী মতিন জানান, ঈদের আগে ১২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট পাননি। বাসে যেতে অনেক সময় লাগবে। সাথে আবার বৃদ্ধা মা ও দুই শিশু সন্তান আছে। সে কারণে ঈদের পরেই বাড়িতে যাচ্ছেন। আরাম করে যেতে পারবেন-এটাই শান্তনা।
নীলফামারীর যাত্রী শওকত হোসেন বলেন, ঈদের আগে বহু কষ্টে টিকিট জোগাড় করতে পারিনি। ৪৬০ টাকার শোভন চেয়ারের টিকিট কালো বাজারে এক হাজার টাকা করে বিক্রি হয়েছে। সে কারণে ঈদের পরে যাচ্ছি।
স্টেশনের কর্মচারীরা জানান, ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে ঈদের ৪/৫দিন আগে যেমন ভিড় ছিল এখন তেমনি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঈদের পরদিন ভিড় আরও বেশি ছিল। আজ শনিবারও ভিড় হবে বলে জানান কমলাপুর স্টেশনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলে, ট্রেনে এবার যাত্রীদের এতো চাপ-যা আগে কখনও হয়নি। প্রতিটি ট্রেনে গাদাগাদি করে মানুষ উঠেছে। এমনকি ট্রেনের ইঞ্জিনেও মৌমাছির মতো মানুষ উঠেছে। এতে করে চালকের অনেকটাই অসুবিধা হয়েছে। ঈদের দুদিন আগে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, দিনাজপুরগামী দ্রæতযান এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে কয়েকশ’ যাত্রী উঠে পরায় প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী নিজে পুলিশ দিয়ে ইঞ্জিন থেকে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়ে বিনামন্দর স্টেশনে যাওয়ার পর আবার যাত্রীরা একইভাবে ইঞ্জিনে উঠে গেছে বলে জানান ওই ট্রেনের চালক (এলএম)। তিনি বলেন, আমাদের কিছুই করার থাকে না। আমরা কি করে ইঞ্জিনে ওঠা ঠেকাবো। তাতে অসুবিধা হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই চালক বলেন, অবশ্যই অসুবিধা হয়। সামনে দেখা যায় না। আইডিয়ার উপর ট্রেন চালাতে হয়। সামনে কিছ পড়ে গেলে বিশেষ করে অরক্ষিত লেভের ক্রসিংয়ে কোনো গাড়ি পারাপার হতে থাকলে বিপদ হতেই পারে। দেখা না গেলে ইমারজেন্সী ব্রেক করবো কিভাবে?
ঈদের সময় ইঞ্জিনে যাত্রী ওঠায় ট্রেন ভ্রমণ অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে উল্লেখ করে রংপুর এক্সপ্রেসের এক চালক বলেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটলে তখনই এই বিষয়ে হয়তো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা এতো করে বলার পরেও ব্যবস্থা নেয়া হয় না। পুলিশ ইচ্ছা করলেই অন্তত ইঞ্জিন থেকে লোকজনকে নামিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তারা তা করে না।
এদিকে, নগরীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে দুরপাল্লার বাসেও অনেক যাত্রী ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন। হানিফ পরিবহনের এক ম্যানেজার বলেন, পুরো বাস না ভরলেও একেবারে ফাঁকা যাচ্ছে না। মানুষজন এখনও ঢাকার বাইরে যাচ্ছে। মহাসড়কে এখন কোনো যানজট নেই। এই সুযোগে অনেকেই যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে।
সদরঘাট টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পরদিনও লঞ্চগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ